Baranagar: বরানগরে আবগারি দফতরের কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Baranagar: বরানগর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান রামকৃষ্ণ পালের বক্তব্য, "আবগারি দফতরের লোকেরা বলছে আদালতের অর্ডার রয়েছে। কিন্তু জিনিস কেন ওরা নেবে? এটা একটা কোম্পানির ছিল
উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগরে বন্ধ কারখানা খুলে যন্ত্রাংশ বার করতে গিয়ে সরকারি আফগারি দফতরের কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কারখানা কর্তৃপক্ষের লোককে ধমক ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা এলাকায়। ঘটনাস্থলে বরানগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বরানগর পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘোষপাড়া এলাকায় ভট্টাচার্যের কারখানা দীর্ঘ চার বছর ধরে বন্ধ ছিল। এই কারখানাতে মোট ৬০০ জন কর্মী কাজ করতেন। সরকারি দেশি মদের বোতল তৈরি হতো এই কারখানায়। আবগারি দফতরের তত্ত্বাবধানে ছিল এই কারখানা।
বুধবার দুপুরে আবগারি দফতরের কর্মীরা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ বন্ধ কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ বের করতে যান। সেই সময় বরানগর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান তথা পৌরপিতা রামকৃষ্ণ পাল কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ বার করতে বাধা দেয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পৌরপিতার বিরুদ্ধে। কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকদের ধমক দিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এলাকা থেকে পৌরপিতা রামকৃষ্ণ পাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
বরানগর পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান রামকৃষ্ণ পালের বক্তব্য, “আবগারি দফতরের লোকেরা বলছে আদালতের অর্ডার রয়েছে। কিন্তু জিনিস কেন ওরা নেবে? এটা একটা কোম্পানির ছিল। হঠ্ করে একটা চিটিংবাজ কোম্পানি ঢুকে গিয়ে বিপত্তি। দুটো ফ্যাক্টারি মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার জিনিস রয়েছে। এটা আদালতে বিচারাধীন মামলা। তাহলে এখনই কেন আমরা মাল তুলতে দেবো?”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয় বরানগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। শাসকদলের পৌরপিতার দাদাগিরির ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “তৃণমূল দলের মধ্যে এখন যথেষ্ট সমন্বয়ের অভাব। সরকারি কর্মীরাই কাজে বাধা পাচ্ছে শাসকদলের পৌরপিতার দ্বারা।”