Basirhat: স্রেফ দুটো চোখ জ্বল জ্বল করে, সূর্য ডুবলেই গ্রামের গলিতে ফিরছে আতঙ্ক
Basirhat Dog: ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। একটি কুকুর কার্যত গৃহবন্দি করেছে গোটা গ্রামকে। কুকুরের ভয় এতটাই যে, ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই হাতে লাঠি থাকছে।
বসিরহাট: সন্ধ্যা হলেই রাস্তা ধু ধু করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে আর বার হচ্ছেন না কেউ। ওই এলাকায় এমনিতেই লোকে চাষবাস আর ব্যবসাপাতি করেন। তাঁরাও বিকাল হতেই ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর এলাকায় যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে! যাকেই সামনে পাচ্ছে বসিয়ে দিচ্ছে দাঁত। অন্ধকারের মধ্যে জ্বল জ্বল করছে চোখ। যত কাছে আসছে, বড় হচ্ছে তা! বসিরহাটের মৈত্র বাগান এলাকায় ঘরের বাইরে বেরোনো মানেই সবার হাতে লাঠি। টাকি রোডে তাণ্ডব চালাচ্ছে পাগলা কুকুর। মহিলা ও শিশু-সহ কামড় খেয়েছে প্রায় ৪৫ জন।
ওই এলাকায় এমনিতেই বাড়ি থেকে কেউ তেমন বেরোচ্ছেন না। বলতে গেলে এ-যেন এক প্রকার অঘোষিত লকডাউন! আর যদিও কেউ ঘরের বাইরে বের হন, তার হাতে থাকছে একটা করে লাঠি! জানা গিয়েছে, এলাকার প্রায় ৩০-৪০ জনকে ইতিমধ্যে এলাকার একটি পাগলা কুকুরে কামড়েছে।
ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন গোটা এলাকার বাসিন্দারা। একটি কুকুর কার্যত গৃহবন্দি করেছে গোটা গ্রামকে। কুকুরের ভয় এতটাই যে, ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় অবশ্যই হাতে লাঠি থাকছে।
কুকুরটিকে ধরার জন্য বসিরহাট পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভাস্কর মিত্র সক্রিয় হন। ইতিমধ্যে লাঠি ও জাল নিয়ে ধরার চেষ্টা করেন, তবে ব্যর্থ হন। কুকুর ধরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার দায় কার, সেই নিয়ে পৌরসভা ও বন দফতরের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, বন দফতরকে এ বিষয়ে খবর দিলে, কুকুর ধরা তাদের আওতার মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়েছেন। সেই কারণে স্থানীয় কাউন্সিলর ‘ডগ রিকভারি’ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে গত দুই দিনে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন এলাকার সাধারণ মানুষকে কামড়ানোয় আর মানুষ যে যথেষ্ট আতঙ্কে আছেন তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন হচ্ছে পৌরসভা এবং বনদফতরের মধ্যে দায় কার?