BJP: ‘হাত-পা ভেঙে গুড়িয়ে দাও, কেস দিলে আমি ছাড়াব’, কর্মীদের ‘ভোকাল টনিক’ বিজেপি বিধায়কের

BJP MLA Swapan Majumder: "তোমাকে আমি সাবধান করে দিতে চাইছি, আমার একটা কার্যকর্তার হাতে-গায়ে যদি আর একবার হাত পড়ে, আর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করো, তোমার ওই শরীর নিয়ে আর এলাকায় যেতে পারবে না।''

BJP: 'হাত-পা ভেঙে গুড়িয়ে দাও, কেস দিলে আমি ছাড়াব', কর্মীদের 'ভোকাল টনিক' বিজেপি বিধায়কের
মেজাজে বিজেপি বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 8:47 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ‘একটা বিজেপি কর্মীদের গায়ে আঘাত এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করলে তোমার ওই আস্ত শরীরে এখান থেকে এলাকায় যাবে না।’ প্রকাশ্য সভা থেকেই তৃণমূলের বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন বনগাঁ দক্ষিণ- এর বিধায়ক স্বপন মজুমদারের (Swapan Majumder)। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘প্রত্যেকটা পঞ্চায়েত দখল করে তার পর শান্ত হয়ে বসব।’ এখানেই না থেমে বিধায়ক আরও বলেন, তৃণমূল যদি গুন্ডামি বা দাদাগিরি করে হাত পা ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে।

শনিবার গোপালনগর থানার নহাটা বাজারে পেট্রোল ডিজেলে কেন্দ্র সরকার কর ছাড় দিলেও রাজ্য সরকার কর ছাড় না দেওয়া এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সভা করছিল বিজেপি। সেই অস্থায়ী সভা মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এতদিন এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে আমরা সঙ্ঘবদ্ধ হতে পারেনি। তা না হলে আমরা বুঝিয়ে দিতাম এখানে কোনও দাদাগিরি আর গুন্ডাগিরি চলবে না।” তাই কোনও তৃণমূল নেতা যদি গুন্ডামি বা দাদাগিরি করে হাত পা ভেঙে গুড়িয়ে দেবার নিদান দিলেন বিজেপি কর্মীদের। বিধায়ক স্বপন মজুমদার আরও বলেন, ‘যদি কেস হয় আমি ছাড়াব’।

বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার গোপালনগরের নহাটা বাজারে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘মাইকে বলে যাচ্ছি, কোনও তৃণমূলের নেতা যদি গুন্ডাগিরি, দাদাগিরি করতে চায়, তা হলে তাদের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়ে আমার কাছে আসবে। কেস হলে আমি ছাড়াব।’’

তিনি যোগ করেন, “এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে আলোরানি। এর হাত কেটে নেব, ওর পা কেটে নেব, আলোরানি এত সাহস কোথা থেকে আসে? তোমাকে আমি সাবধান করে দিতে চাইছি, আমার একটা কার্যকর্তার হাতে-গায়ে যদি আর একবার হাত পড়ে, আর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করো, তোমার ওই শরীর নিয়ে আর এলাকায় যেতে পারবে না। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ, তুমি এখানে বিভ্রান্তি ছড়াবে, আর মানুষ তোমাকে ক্ষমা করবে, তুমি সেটা ভুলে যাও।”

বিধায়ক জানিয়ে দেন, এই এলাকায় বিজেপি শক্তিশালী, তাই এখানে দাদাগিরি নয়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘বাংলা এখন গরিবের বাংলা, ভিখারির বাংলা হয়ে গেছে। এর আগে সিপিএমের ৩৪ বছরের রাজত্বকালে, তার পর ১০ বছর… এখানে যারা বয়স্ক মানুষ আছেন, তাঁরা জানেন আগে বাইরের মানুষ বাঙালিকে সম্মান করত বাঙালিবাবু বলে। এখন করে না।’

এদিকে এ নিয়ে আলোরানির প্রতিক্রিয়া, “এটা হাসির ব্যাপার বটে। বিজেপিতে আর লোক আছে বলে আমার মনে হয় না। সামান্য কিছু আছে হয়ত। হাজার হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যোগদান করিয়েছি। বাকি যারা আছে, নেব না। তাই কাকে মারধর করবেন, আসুন দেখে নিতে পারব। আইন-আদলত আছে, সেখানে দেখা হবে”। তিনি পাল্টা বিজেপি বিধায়ককে পাচারকারী বলে খোঁচা দেন।

আরও পড়ুন: West Medinipur: ‘মেয়েটা ভালো নেই আন্দাজ করেছিলাম, এমনটা হবে ভাবিনি’, যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য