West Medinipur: ‘মেয়েটা ভালো নেই আন্দাজ করেছিলাম, এমনটা হবে ভাবিনি’, যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

Deadbody Reacover: বাপের বাড়ির অভিযোগ, ঢিল ছোড়া দূরত্বে শ্বশুরবাড়ি হলেও মেয়ের মারা যাওয়ার কোনও খবর দেওয়া হয়নি তাঁদের।

West Medinipur:  'মেয়েটা ভালো নেই আন্দাজ করেছিলাম, এমনটা হবে ভাবিনি', যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2021 | 7:22 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: টালিগঞ্জের ছায়া এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে। এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হল বন্ধ ঘর থেকে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবতী এমনটাই খবর। এদিকে, তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ করছেন যে তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মৃতার নাম মৌপ্রিয়া ছাতিক (১৯)। গত দু’বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার খড়ার শ্যামসুন্দরপুর এর ছোটু ছাতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় ঘাটালের হেমন্তপুরের বাসিন্দা মৌউপ্রিয়ার। তাঁদের দশ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গতকাল বিকেল নাগাদ মৌপ্রিয়ার বাপের বাড়ির সদস্যরা খবর পান যে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘাটাল হাসপাতালে (Ghatal Hospital)ভর্তি রয়েছে সে।

শেষবার ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন মৌপ্রিয়া। বাপের বাড়ি সদস্যরা জানান, তখনি বুঝতে পেরেছিলাম বিষয়টা। ঠিক আন্দাজ করতে পেরেছি যে আমাদের মেয়ে সুখে নেই। তবে এমনটা হবে বুঝতে পারেনি। পাশাপাশি তাদের আরও অভিযোগ, যে মেয়ের মৃত্যুর কোনও খবরই দেননি শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন তারা।

মৌপ্রিয়ার পরিবারের এক সদস্য কথায়, ভাইফোঁটার দিনই আমরা ওর কথায় কিছুটা আঁচ পেয়েছিলাম। বঝতে পেরেছিলাম আমাদের মেয়েটা ভালো নেই। ওদের সংসারের মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। তবে তার পিছনের কারণ আমরা জানতাম না।

এরপর গতকাল বিকেল নাগাদ বাপের বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন যে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে হলেও মৃতের স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউই খবর দেয়নি যে তাদের মেয়ে মারা গিয়েছে।

ঘটনার পরই মৌপ্রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন ঘাটাল থানায় পুরো বিষয়টা জানিয়ে মৌউপিয়ার শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ঘাটাল থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, গতকাল পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হন এক মহিলা। কলকাতার টালিগঞ্জের ঘটনা। মৃতের নাম পূজা চন্দ্র (২০)। স্বামী সঞ্জয় চন্দ্র। এক বছর আট মাস পূজা ওবং সঞ্জয়ের বিয়ে হয়। যুবতী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কিছুদিন আগেই পূজা ভাইফোঁটা দিতে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত ১০ তারিখ ফেরেন সেখান থেকে।

যুবতীর বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পূজাকে নানা ধরনের অত্যাচার করত তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। ভাইফোঁটা থেকে ফেরার পরই পূজার শাশুড়ি পণের জন্য মানসিক ভাবে অত্যাচার করতে থাকে। ক্রমাগত অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় মেনে নিতে পারেনি পূজা। যার জেরে অকালেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল তাকে।

আরও পড়ুন: Bengal Assembly: ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না, বিধানসভার অধিবেশনে সরব খোদ শাসকদলের বিধায়ক