Councillor’s Clash: বৈঠকের মধ্যে হাতাহাতি দুই কাউন্সিলরের, সামাল দিতে ছুটল পুলিশ

Councillor's Clash: আজ ক্ষমা করে দেওয়া হল, পরের দিন আর ক্ষমা করা হবে না। এমনটাই বলেছেন পুরসভার চেয়ারপার্সন।

Councillor's Clash: বৈঠকের মধ্যে হাতাহাতি দুই কাউন্সিলরের, সামাল দিতে ছুটল পুলিশ
হাতাহাতি থামাতে যায় পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 6:04 PM

ভাটপাড়া: ভাটপাড়া পুরসভার বোর্ড মিটিং চলাকালীন কাউন্সিলরদের মধ্যে হাতাহাতি -ধ্বস্তাধ্বস্তির ছবি সামনে এল। বৈঠকে কাউন্সিলরদের হাতাহাতির এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। ঘটনাস্থলে রয়েছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। টেন্ডার নিয়োগ এবং ছাঁটাই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয় বৈঠকের মধ্যেই। এরপর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের সঙ্গে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ সাউ-এর হাতহাতি শুরু হয়ে যায়।

উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুলিশকে আসরে নামতে হয় সামাল দিতে। বৈঠক ঘিরে কার্যত থমথমে পরিবেশ তৈরি হয় ভাটপাড়ায়। তবে ভাটপাড়া পুরসভার মধ্যে কাউন্সিলরদের হাতাহাতি- ধাক্কাধাক্কির ঘটনা এড়িয়ে গেলেন ভাটপাড়া পুরসভার অনেক সদস্যই। ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা এড়িয়ে গেলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন চেয়ারম্যান। পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন একাধিক কাউন্সিলর। তবে কী ভাবে এই ছবি বাইরে বেরিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাউন্সিলররা। ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ দাবি করেন, যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা বোর্ড মিটিং-এর আগের ঘটনা। কাউন্সিলরদের মধ্যে সামান্য বাক্য বিনিময় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি দাবি করেন, বৈঠকের মধ্যে এমন কিছুই হয়নি। কারা ছবি তুলল সেটাও তিনি বুঝতে পারছেন না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গেল কি না, সেই প্রশ্ন করতে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেন হবে! মত পার্থক্য হলেই কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! আমার কথা কি সবাইকে মেনে নিতে হবে?’ বৈঠকের সঙ্গে ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি।

এ দিকে, পুরসভার ভিতর হাতাহাতির কথা স্বীকার করেছেন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন। চেয়ারপার্সন রেবা রাহা প্রথমটায় দাবি করেন, তেমন কোনও অশান্তি হয়নি, যা হয়েছে তা নিজেদের মধ্যে মিটে গিয়েছে। বাইরে পুলিশ আসার কথা জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বৈঠকে বার্তা দিয়েছেন, এই রকম ঘটনা যদি আবার ঘটে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।