Fire Crackers Seized: একের পর এক বিস্ফোরণ, তবু ফিরছে না হুঁশ, ২০০০০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার দত্তপুকুরে

Duttapukur: প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এদিনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগ জাকির হোসেন নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Fire Crackers Seized: একের পর এক বিস্ফোরণ, তবু ফিরছে না হুঁশ, ২০০০০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার দত্তপুকুরে
উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 9:30 PM

দত্তপুকুর: প্রথমে এগরা, তারপর বজবজ। একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Fire Cracker Factory Blast)। আর তা থেকেই প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি এগুলিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের নজরদারি কতটা, তা নিয়েও। এগরার ঘটনার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ-প্রশাসন। শুরু হয়েছিল বেআইনি বাজি কারখানায় হানা, ধরপাকড়। গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটেছে। আর এবার বজবজের ঘটনার পর আরও কড়া পুলিশ। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার পুলিশ সোমবার অভিযান চালায় নীলগঞ্জের এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়িতে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এদিনের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগ জাকির হোসেন নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দত্তপুকুর থানা এলাকার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ইছাপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে সোমবার অভিযান চালায় পুলিশ। গোপন সূত্র মারফত পুলিশের কাছে খবর আসে, ওই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বেআইনি বাজি মজুত রয়েছে। সেই সূত্র ধরে ইছাপুরার কাঠুরিয়া গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। বারাসতের এসডিপিও এবং দত্তপুকুর থানার পুলিশের তরফে বিশাল বাহিনী নিয়ে অভিযান চালানো হয় ওই গ্রামের ইবাদত মণ্ডলের বাড়িতে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় এই বিপুল পরিমাণ বেআইনি বাজি। যদিও এলাকা থেকে পলাতক অভিযুক্ত ইবাদত মণ্ডল। ওই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

তবে ঘটনাস্থল থেকে জাকির মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দত্তপুকুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, পুলিশের অ্যাকশন ফোর্স ও পুলিশের পদস্থ কর্তারা। সোমবার সন্ধের এই ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আশপাশের এলাকাবাসীরা বলছেন, ইবাদত মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করা হচ্ছিল, সেই সব খতিয়ে দেখছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।