Ration Scam: বাংলাদেশে পাচারের পথে বাজেয়াপ্ত কয়েক হাজার টন গম গিয়েছিল বাকিবুরের রাইস মিলে
Bakibur Rahaman: রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের এক নথি বলছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ গম উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু চালকল, আটাকলে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে সিংহভাগই গিয়েছিল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় এনপিজি রাইস মিলে, যার মালিক বাকিবুর রহমান।
দমদম: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার বাকিবুর রহমানের বিষয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। পুরনো সরকারি নথি থেকে জানা যাচ্ছে, বসিরহাট থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রচুর পরিমাণে গম ঢুকেছিল বাকিবুরের চালকলে। ঘটনাটি ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের। সেই সময় বসিরহাট থানা এলাকার ঘোজাডাঙা থেকে ১৭৫ ট্রাক গম বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের সন্দেহ ছিল ওই বিপুল পরিমাণ ট্রাক বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। তার আগেই ১৭৫ ট্রাক ভর্তি গম উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার ১০১ মেট্রিক টন গম বাজেয়াপ্ত হয়েছিল সেই পুলিশি অভিযানে।
রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের এক নথি বলছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ গম উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু চালকল, আটাকলে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে সিংহভাগই গিয়েছিল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় এনপিজি রাইস মিলে, যার মালিক বাকিবুর রহমান। ২ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন পাঠানো হয়েছিল সেখানে। সেই নথির নীচে সই ছিল উত্তর ২৪ পরগনার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলারেরও।
উত্তর ২৪ পরগনার যে চারটি মিলে সেই বাজেয়াপ্ত হওয়া গম পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল দমদমের সাহা অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি গম কলেও। তাদের কাছে গিয়েছিল ১১১ মেট্রিক টন বাজেয়াপ্ত হওয়া গম। এই গমকলের মালিক অরবিন্দ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি।
যদিও অরবিন্দ সাহার ব্যাখ্যা, বসিরহাটে যে গম বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেটি সরকার পাঠিয়েছিল এখানে। তবে এই গম সরকারের থেকে তাঁরা কেনেননি বলেই জানাচ্ছেন অরবিন্দবাবু। তাঁর বক্তব্য, এই গম সরকার শুধু রাখতে বলেছিল তাঁদের কাছে। ওই বিপুল পরিমাণ গম যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেই কারণে পিডিএসের গমের সঙ্গে ওই গম অল্টারনেট করে চালাতে বলা হয়েছিল। তাঁর ব্যাখ্যা, সরকার ওই গম শুধু গচ্ছিত রাখার জন্যই তাঁদের কাছে দিয়েছিল।