বার বার ফিরে যেতে হয়! বালিশ-মশারি নিয়েই রাতভর অপেক্ষা ভ্যাকসিনের

কেউ থাকেন হাসপাতাল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে, কেউ আবার ৩০ কিলোমিটার দূরে।

বার বার ফিরে যেতে হয়! বালিশ-মশারি নিয়েই রাতভর অপেক্ষা ভ্যাকসিনের
ভ্যাকসিনের লাইন দিতে রাতেই এসেছেন প্রতিবন্ধী যুবক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 2:29 PM

বসিরহাট: খোলা আকাশের নীচে মশারি টাঙিয়ে অপেক্ষা। সকাল হলে মিলবে ভ্যাকসিন (Vaccine)। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে যখন হয়রানির ছবি দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে এমনই দৃশ্য দেখা গেল বসিরহাটে (Basirhat)। খোলা জায়গায় যারা অপেক্ষা করছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও প্রতিবন্ধী যুবক। কেউ ২০ কিলোমিটার, কেউ ৩০ কিলোমিটার পেরিয়ে ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন। সুন্দরবন ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাড়োয়া গ্রামীন হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাঁরা। সোমবার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রবিবার রাত থেকে এ ভাবেই অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাঁদের।

তাঁদের অভিযোগ দিনের বেলা এসে লাইন দিয়েও তাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, ফিরে যেতে হচ্ছে। তাই তাঁরা রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে নাম লেখাচ্ছেন। রাত ২ টো পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য যাঁরা এসেছেন, তাঁরা হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর, মাখালগাছি ও কুলটি সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

ইরফান উল্লা নামে এক ব্যক্তি জানান, বেসরকারি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে তাঁদের ভয় রয়েছে। কারণ সেখানে দেওয়া ভ্যাকসিন জাল হতে পারে। আসল ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যই তাই হাসপাতালে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা অপেক্ষা করছেন। প্রতিবন্ধী এক যুবক ভাস্কর লোয়ারা জানান, বাড়ি থেকে বালিশ, বিছানা, মশারি সব নিয়ে এসে অপেক্ষা করছে। ২-৩ দিন ফিরে যেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি, তাই আর ঝুঁকি না নিয়েই এই বন্দোবস্ত করেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তারা যেমন ভ্যাকসিন পাচ্ছে তেমনভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বণ্টন করছে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও প্রত্যেক দিন ৬০০ বা ১ হাজার লোককে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বারাসতের একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর, বিতর্ক তাঁর পুরনো ফেসবুক পোস্ট ঘিরে

COVID third Wave