Haroa Blast: ‘তৃণমূলের লোকেরাই ডেকে নিয়ে গেল’, বলছেন হাড়োয়ার আহত ব্যক্তির স্ত্রী
Haroa Blast: বসিরহাটের হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালিতপাড়ার একটি বাগানে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে রবিবার রাতে। তাতেই মৃত্যু হয় সোনাপুকুর-শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়ার বাসিন্দা পরিতোষের।
হাড়োয়া: বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাড়োয়ায়। মৃত্যু হয়েছে পরিতোষ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। ওই বিস্ফোরণেই আহত হয়েছেন নারায়ণ পালিত নামে শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রীর দাবি, তৃণমূলের লোকেরাই ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামীকে। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। নারায়ণের স্ত্রী দীপিকা পালিত জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী নব্য তৃণমূল করতেন। সে কারণে অনেকেরই আক্রোশ ছিল বলে মনে করছেন তিনি। তবে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, সেই ধোঁয়াশা এখনও রয়ে গিয়েছে।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালিতপাড়ার একটি বাগানে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে রবিবার রাতে। তাতেই মৃত্যু হয় সোনাপুকুর-শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়ার বাসিন্দা পরিতোষের। তাঁরা বোমা বাঁধছিলেন, নাকি বোমা অন্য কেউ বাঁধছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিতোষের পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ছিল, তার জেরেই কেউ খুন করে থাকতে পারে।
আহত নারায়ণ পালিত কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎধীন। দীপিকা জানান, রবিবার দুপুরে ভাত খেয়ে শুয়েছিলেন তাঁর স্বামী। মিছিলের নাম করে তাঁকে কেউ বা কারা ডেকে নিয়ে যান। দীপিকা মনে করছেন, তৃণমূলের লোকেরাই মিছিলের নামে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাতে কোনও খোঁজ আর পাননি তাঁরা। তাঁর স্বামীর ওপর অনেকের আক্রোশ ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর স্বামী কৃষিকাজ করতেন বলেও জানিয়েছেন দীপিকা। পারিবারিক বিবাদ, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।