বাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে বৃ্দ্ধের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৩ লক্ষ টাকা!

Fraud Case: মাসখানেক আগে বনগাঁর বাসিন্দা শ্যামসুন্দর কুণ্ডু নিজের বাড়ি বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেন। অভিযোগ, অগস্ট মাসের শেষদিকে ওই বিজ্ঞাপন দেখে এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ি কেনার জন্য আসেন।

বাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে বৃ্দ্ধের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৩ লক্ষ টাকা!
প্রতারিত বৃদ্ধ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 7:51 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: নিজের বাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করলেন এক বৃদ্ধ। বনগাঁর বাসিন্দা শ্যামসুন্দর কুণ্ডুর অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কের (State-owned Bank) স্থানীয় শাখা  থেকে  তাঁর বাতিল চেকের মাধ্যমে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় মূলত, তাঁর বাড়ির ক্রেতার দিকেই আঙুল তুলেছেন কুণ্ডুবাবু। যদিও, সেই ক্রেতা পলাতক।

মাসখানেক আগে বনগাঁর বাসিন্দা শ্যামসুন্দর কুণ্ডু নিজের বাড়ি বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দেন। অভিযোগ, অগস্ট মাসের শেষদিকে ওই বিজ্ঞাপন দেখে এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ি কেনার জন্য আসেন। প্রথম দেখাতেই বাড়ি পছন্দ হয় তাঁর। প্রাথমিক কথাবার্তার পর অগ্রিম বাবদ ওই ব্যক্তি শ্যামসুন্দরবাবুকে তিন লক্ষ টাকার একটি চেক দেন।

পাশাপাশি, আরও টাকা দেওয়ার জন্য শ্যামসুন্দরের কাছ থেকে একটি ‘ক্যানসেল’ চেক চেয়ে নেন তিনি। সেই চেকে শ্যামসুন্দর নিজে হাতে সই করে ক্যানসেল বলে লিখে দেন। তবে, নিজের কলমে নয়, ওই  ব্য়ক্তির কলমেই সই করেছিলেন। দুই একদিন পরে ওই বাতিল চেক থেকে ২লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ পান শ্যামসুন্দর। ঘটনায় রীতিমতো হতচকিত কুণ্ডু পরিবার।

ঘটনায়, বনগাঁর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্য়াঙ্কের (State-owned Bank) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখানকার আধিকারিকেরা কুণ্ডু পরিবারের সঙ্গে অসহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ। কেন এত মোটা টাকার অ্যামাউন্ট ট্রান্সফারের আগে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে কোনওরকম যোগাযোগ করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই ব্যাঙ্ককে আইনি  নোটিস পাঠিয়েছেন শ্যামসুন্দরের আইনজীবী। কুণ্ডুবাবুর কথায়, “এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের গাফিলতি রয়েছে। আমার সাক্ষরে যে আমি ‘শ্রী’ লিখি, সেটা ব্যাঙ্ক জানল কী করে? এত টাকার চেক ক্যাশ কবার আগে ব্যাঙ্কের তরফে আমাদের এক বারও জানানো হয়নি। আমার পুরো টাকা যাতে ফেরত পাই, সে ব্যবস্থা করুক পুলিশ।”

তাঁর আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়মানুযায়ী, বড় অঙ্কের টাকার চেক ক্যাশ হওয়ার আগে গ্রাহককে জানানোটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে তা করা হয়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে আমার গ্রাহকের হয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। সঠিক সময়ের মধ্যে যথাযথ উত্তর না পেলে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”

শ্যামসুন্দরের স্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্ক যা করেছে তা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা জানি না। তবে, এইভাবে এত মোটা টাকার অঙ্ক এভাবে একজনকে পাঠানো হল, কিন্তু আমরা জানতেও পারল না। ব্যাঙ্কেরও কোনও সন্দেহ হল না। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। তার ব্যবস্থা ব্যাঙ্ককেই করতে হবে।” যদিও এই বিষয়ে বনগাঁর ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনও রকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। আরও পড়ুন: পৌরসভায় গুপ্ত কক্ষ, ৬ফুটের আলমারি, জানেনই না পুরপ্রশাসক, শ্যাম-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য!