Recruitment Scam: ‘মাকড়সার জাল বিছিয়েছিল… হাহাকার তো পড়বেই’, ‘সৎ রঞ্জনের’ গ্রেফতারিতে আরও ঝাঁঝালো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুর বললেন, 'নিয়োগ দুর্নীতিতে মাকড়সার জাল বিছিয়েছিল। এটি আরও দূর পর্যন্ত পৌঁছাবে। এটি শেষ হবে না। আগামী দিনে বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরও টান পড়বে।'
বনগাঁ: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে (Recruitment Scam) গ্রেফতার করা হয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস অতীতে তাঁকে ‘সৎ রঞ্জন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কারণ, উপেন বিশ্বাসের ব্যাখ্যা ছিল, ওই ব্যক্তি যেমন টাকা নিয়েছিলেন, তেমনই কাউকে চাকরি পাইয়ে দিতে না পারলে টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন। এদিকে সেই চন্দন ওরফে রঞ্জন গ্রেফতারির পর থেকেই ফের নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাগদার মানুষজন বলছেন, চাকরি যেতে শুরু করলে হাহাকার পড়ে যাবে। আর এবার চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে আরও ঝাঁঝালো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Union Minister Shantanu Thakur)। বললেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে মাকড়সার জাল বিছিয়েছিল। এটি আরও দূর পর্যন্ত পৌঁছাবে। এটি শেষ হবে না। আগামী দিনে বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরও টান পড়বে।’
স্থানীয় মানুষজন যে হাহাকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন, তার সঙ্গেও একমত বিজেপি সাংসদ। বললেন, ‘হাহাকার তো পড়বেই। দুর্নীতিতে ১০০-১৫০-২০০ কোটি প্রকাশ্যে ধরা পড়েছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার তছরূপ হয়েছে। সময় এলে জানতে পারবেন।’ এদিকে চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা ছিল চন্দনের। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির ওই সদস্যদের সঙ্গে কার মাধ্যমে চন্দনের যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, ‘শান্তনু ঠাকুর তো বলবেনই। কারণ ইডি-সিবিআই কী করে, তা আগে থেকে তাঁরা জেনে যান। তবে আমরা চাই গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।’ তবে বাগদার চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।