Chandan Mondal : ‘বাগদার ৯৫ শতাংশ চাকরি চন্দনের মাধ্যমে হয়েছে’, বিস্ফোরক এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক
Chandan Mondal : নিজের গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার পদে চাকরি করতেন চন্দন। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় মামা-ভাগিনা গ্রামে দোতলা বাড়ি রয়েছে চন্দনের।
বাগদা : বাগদার অন্তত তিনশো জনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য অন্তত ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিতেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mondal) ওরফে রঞ্জনের বিরুদ্ধে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনছে সিবিআই (CBI)। ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নিতেন উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য। রঞ্জনের সঙ্গে রাজ্যের এক মন্ত্রীর যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। এবার চন্দন মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে বিস্ফোরক বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর। তাঁর দাবি, ২০১২ সাল থেকে বাগদার ৯৫ শতাংশ চাকরি চন্দনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে হয়েছে। এমনটাই দাবি বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের ।
প্রসঙ্গত, ‘সৎ রঞ্জন’ বলেই তাঁর পরিচয় দিয়েছিলেন প্রাক্তন সিবিআই (CBI) কর্তা উপেন বিশ্বাস। কিন্তু, আচমকা কেন তাঁর নাম সামনে আনলেন তিনি। ফাঁসানোর উদ্দেশেই কি এ কাজ করেছেন তিনি। এই প্রশ্নের উত্তরে দুলাল বর বলেন, “কোথায় নেতাজি আর কোথায় পেয়াজি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন মন্ত্রী, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ছিলেন। আর চন্দন একজন প্যারা টিচার।” গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার জন্য চন্দন মণ্ডল কত লক্ষ করে টাকা নিতেন তাও তিনি খোলসা করে বলেন এদিন। তাঁর দাবি প্রাইমারিতে ১০ লক্ষ, আপার প্রাইমারিতে ১২ লক্ষ, উচ্চ মাধ্যমিকে ১৪ লক্ষ টাকায় চাকরি দিতেন চন্দন। একইসঙ্গে চন্দনের পক্ষে কোনও উকিলকে না দাঁড়ানোরও আবেদন করেন দুলাল বর। যাঁরা চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন তাদের উদ্দেশে বলেন, “যাঁদের কাছে টাকা দিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি চড়াও হন। তাদের কলার ধরে টাকা আদায় করুন।”
প্রসঙ্গত, নিজের গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার পদে চাকরি করতেন চন্দন। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় মামা-ভাগিনা গ্রামে দোতলা বাড়ি রয়েছে চন্দনের। চাকরির সময়, একসময় তাঁর দোতলা বাড়ির সামনে নাকি লোকজনের লাইন লেগে থাকত একসময়। এদিকে চন্দনের গ্রেফাতির পর থেকেই তাঁকে নিয়ে তোলপাড় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। তাঁকে জেলের মধ্যে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে এই তৃণমূল (TMC) সরকার। একদিন আগে এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল শোরগোল। এবার দুলাল বরের দাবি নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর।