Sukanta Majumdar: CBI-এর বিরুদ্ধে তদন্তে ‘মন্থরতা’র অভিযোগ তুলে ক্ষোভের সুর সুকান্তর গলাতেও
CBI : সুকান্ত মজুমদার বললেন, "আরও তাড়াতাড়ি কাজ করলে আমরা খুশি হতাম। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, একবছর পার হয়ে গিয়েছে। এত দেরি করে গ্রেফতার হচ্ছে। আরও আগে গ্রেফতার হলে আমরা খুশি হতাম।"
ব্যারাকপুর : কিছুদিন আগেই সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ জলঘোলাও হয়েছিল। এবার সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে খুশি নন সুকান্ত মজুমদার। বললেন, “আরও তাড়াতাড়ি কাজ করলে আমরা খুশি হতাম। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, একবছর পার হয়ে গিয়েছে। এত দেরি করে গ্রেফতার হচ্ছে। আরও আগে গ্রেফতার হলে আমরা খুশি হতাম। সিবিআই-এর তৎপরতা আরও দ্রুত হলে আমরা খুশি হব। আমাদের মতে, ধীর গতিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে।” শনিবার ব্যারাকপুরে এসে এই কথাই বললেন সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ জুলাই ব্যারাকপুর চিড়িয়া মোড় এলাকায় বিজেপির এক প্রতিবাদ মিছিলে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারি। শনিবার তাঁকে দেখতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পদ্ম শিবিরের দাবি, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিকে আরও মজবুত করতেই এই সৌজন্য সাক্ষাৎ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিবিআই-এর তদন্তের গতি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভের সুর শোনা গেল সুকান্ত বাবুর গলায়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দিলীপ ঘোষও মুখ খুলেছিলেন সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে। নিজেই উস্কে দিয়েছিলেন ‘সেটিং-তত্ত্ব’। দিলীপ বাবুরও মূলত ক্ষোভ জমে রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে গতিপ্রকৃতি নিয়ে। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দাবি করেছিলেন, “আমার কোনও অস্বস্তি নেই। যে সিবিআই আমার ৬০ জন কর্মী হত্যার একজনকেও ন্যায় দিতে পারেনি, সেই সিবিআইকে আমি বলবই। ১০০ জন কর্মীর মৃতদেহের উপর মালা দিয়েছি। আমার বুকে জ্বালা আছে, আমি বলব।”
দিলীপ ঘোষের সেই মন্তব্যের পর বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এবার দিলীপ বাবুর মতো এতটা কড়া ভাষাতে না হলেও ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে সিবিআই-এর গতি নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও।