TET Agitation: বিধ্বস্ত হয়ে ঘরে ফেরা, তবুও আগামীর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত এক রোখা অরুণিমা
TET Agitation: শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। বদলে জুটেছিল পুলিশের কামড়! ক্যামাক স্ট্রিটের এছবি শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। বুধবার রাতে অরুণিমা হয় উনিত্রিশজনকে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তর ২৪ পরগনা: হকের চাকরি চেয়ে অবস্থানে। টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। ধস্তাধস্তির মধ্যেই চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে কামড়ে দেন এক পুলিশকর্মী। থানার মধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। দীর্ঘক্ষণ মেলেনি কোনও চিকিৎসা। সেই অরুণিমাই জামিন পেয়ে ফিরলেন ঘরে। না থামলে চলবে না। ফের লড়াইয়ের প্রস্তুতি অরুণিমাদের।
শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। বদলে জুটেছিল পুলিশের কামড়! ক্যামাক স্ট্রিটের এছবি শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যজুড়ে। বুধবার রাতে অরুণিমা হয় উনিত্রিশজনকে আটক করে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ বোধ করায় চিকিত্সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। উত্তরে পুলিশ অফিসার কী বলছেন, তাও ভাইরাল। পুলিশ কর্তা বলেছিলেন, “এখানে মৃত্যু হলে, দায় আমাদের।” তারও খানিক পরে ন্যাশনাল মেডিক্যালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় অরুণিমার। যদিও ন্যাশনাল মেডিক্যালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হলেও মেলেনি কোনও প্রেসক্রিপশন। কামড় খেয়েও নিস্তার মেলেনি। অরুণিমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হয় মামলাও।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন অরুণিমা সহ ধৃত আন্দোলনকারীরা। আদালত থেকে বেরিয়ে অরুণিমা বলেন, “আমরা ক্রিমিনাল নই। সেটা প্রমাণ হল। এতদিনে কোর্টের বিচারে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে আমাদের চাকরি চুরি গিয়েছে।” তাঁদের শুভেচ্ছা জানান অন্য আন্দোলনকারীরাও। ছাড়া পেয়েই ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি একরোখা অরুণিমার। আদালত থেকে বেরিয়ে সোজা বাড়ির পথে। ফের আগামীদিনের লড়াইয়ের প্রস্তুতি। অরুণিমা বলেন, “হকের চাকরির দাবিতেই আমাদের এই আন্দোলন। দুর্নীতি কীভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে. তা সবাই জানে, এবার বদল আনতেই হবে।” মায়ের মুক্তি চেয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছে অরুণিমা মেয়ে। দশম শ্রেণির ছাত্রী বলে, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে এভাবে কামড় খেতে হয়, অন্যায় প্রতিবাদ করলে এইভাবে অপদস্ত হতে হয়।”