Panchayat Elections 2023: ‘কিছু পুলিশ অপদার্থ, অকর্মণ্য’, কার কোর্টে বল ঠেললেন তাপস?
Tapas Roy: বৃহস্পতিবার তাপস রায় এক দলীয় কর্মসূচি থেকে বলেন, "কিছু পুলিশ অকর্মণ্য, অপদার্থ। আরেকটা ভাগ মজা দেখছে। আমাদের দলের সরকারকে হেয় করছে। আমাদের সরকারের বিরোধী। তাই এসব করছে।"
উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের হিংসা, সন্ত্রাস তো হয়েছেই। ভোটপর্বে মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বিরোধীরা প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার। খুব স্বাভাবিক। কিন্তু একের পর এক তৃণমূল নেতার মুখে এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। এর আগে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় সরাসরি রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছু না বললেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘নিরপেক্ষ ফোর্স’। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পুলিশের একটা অংশকে ‘অপদার্থ, অকর্মণ্য’ বলে তোপ দাগলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)।
বৃহস্পতিবার তাপস রায় এক দলীয় কর্মসূচি থেকে বলেন, “কিছু পুলিশ অকর্মণ্য, অপদার্থ। আরেকটা ভাগ মজা দেখছে। আমাদের দলের সরকারকে হেয় করছে। আমাদের সরকারের বিরোধী। তাই এসব করছে। তারা কেন করছে কী জন্য করছে তা বিশদে আর যেতে চাই না। সকলেই জানেন, বেশির ভাগ মানুষ চাপের কাছে নতিশিকার, আরেকটা বিষয়ের কাছে নতিশিকার করেন।”
এর আগে বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের সময় হিংসার অভিযোগ উঠলে সে দায় নির্বাচন কমিশনের ঘাড়েই ঠেলেছে রাজ্য সরকার। সে কমিশন অবশ্য দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর ভোট মানে রাজ্যের পুলিশ, জেলা প্রশাসন সবই কমিশনের আওতায়। তবে পঞ্চায়েত ভোট হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আওতায়। এ ক্ষেত্রে পুলিশ, জেলা প্রশাসন কমিশনের আওতায় থাকলেও মূলত রাজ্যেরই হাতে থাকে তারা।
তবে শাসকদল তা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, কমিশন স্বতন্ত্র্য সংস্থা। তাদের উপর রাজ্যের কোনও প্রভাবই নেই। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, কমিশনটাই রাজ্য সরকার চালায়। এই দ্বৈরথের মধ্যে একের পর এক তৃণমূল নেতা সুর চড়াচ্ছে রাজ্য পুলিশ নিয়ে। কুণাল ঘোষ এদিন আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পুলিশের একাংশের নিয়োগের সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, পুরনো সময়ের নিয়োগ, নজর রাখা হচ্ছে।