Sougata Roy: সরকারি অনুষ্ঠানে ‘আমরা-ওরা’? মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দেখা গেল না তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ককে
Panihati: বিশাল কর্মযজ্ঞ। সরকারি অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানে দেখা মিলল না এলাকার সাংসদ সৌগত রায় ও স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজির। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পানিহাটি: শুক্রবার পানিহাটিতে শিলান্যাস হয়ে গেল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর হাত ধরে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল। মোটি ১৭৮ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার। ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৮ কোটি। বাকি ১০০ কোটি টাকা প্রযুক্তিগত সুবিধা ও পরিকাঠামোর জন্য। বিশাল কর্মযজ্ঞ। সরকারি অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানে দেখা মিলল না এলাকার সাংসদ সৌগত রায় ও স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজির। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেন দেখা মিলল না স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কের? ডাক পাননি, নাকি পেয়েও গেলেন না? জোর চর্চা শুরু পানিহাটিতে।
এদিন পানিহাটির ওই সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য দাবি করছেন, তৃণমূল সবকিছুতেই ‘রাজনীতি’ খোঁজে। বলছেন, ‘রাজ্য সরকারের কোনও অনুষ্ঠানে বিজেপির কাউকে ডাকা হয় না। আর আমাদের অনুষ্ঠানে ওঁদের আমন্ত্রণ করলেও আসেন না। তবে ওঁরা না এলেও আমরা ওঁদের নাম ফলকে রেখেছি।’ এদিকে আবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর প্রফেসর ভি রবিচন্দ্রিয়ানের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী সাংসদ, বিধায়ক ও অন্যান্য সব অতিথিদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার এলাকার সরকারি অনুষ্ঠানে দেখা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গেও। বর্ষীয়ান সাংসদের আবার বক্তব্য, তিনি কোনও আমন্ত্রণপত্রই হাতে পাননি। বললেন, ‘আমাকে কেউ যেতে বলেওনি। আমন্ত্রণও করেনি।’ একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়ককেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘হিরণ চট্টোপাধ্যায় কে? কোথায় রাজনীতি করেন? আমি জানি না।’