TV9Bangla Impact: টিভিনাইন খবর করতেই ঘুম ভাঙল সরকারি হাসপাতালের, বেড পেলেন তনুশোভা
Khardah: ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। পরিবারের দাবি, খড়দহের তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিচুনি হতে থাকে তাঁর, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলাও বেরোতে থাকে। তনুশোভার বাড়ির লোকের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক সেরিব্রাল অ্যাটাকের কথাও বললেও সেখানে সে অর্থে কোনও চিকিৎসাই হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
উত্তর ২৪ পরগনা: সরকারি ৪ হাসপাতালে ঘুরে রবিবার রোগীকে বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল পরিবার। লাগাতার টিভিনাইন বাংলা সেই খবর তুলে ধরে। এরপরই তৃণমূলের শহর যুব সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী যোগাযোগ করেন তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সঙ্গে। তনুশোভাকে নিয়ে যাওয়া হয় খড়দহের বলরাম হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্যালাইন চলছে তাঁর। বুকের এক্স-রে হয়েছে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্টও রয়েছে রোগীর। তা দেখছেন চিকিৎসকরা। স্নায়ুর কোনও সমস্যা নাকি অন্য সমস্যা রয়েছে তনুশোভার তা দেখছেন ডাক্তাররা।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। পরিবারের দাবি, খড়দহের তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিচুনি হতে থাকে তাঁর, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলাও বেরোতে থাকে। তনুশোভার বাড়ির লোকের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক সেরিব্রাল অ্যাটাকের কথাও বললেও সেখানে সে অর্থে কোনও চিকিৎসাই হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
এরপরই স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সিটি স্ক্যানের পর নিউরো চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয় সেখান থেকে। বলা হয় এনআরএসে নিয়ে যেতে। পরিবারের অভিযোগ, এনআরএসে তনুশোভাকে নিয়ে গেলে বলা হয় এ রোগী সাগর দত্তেই রেখে দেওয়া যেত। ইচ্ছাকৃত নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়। সোমবারের আগে কিছু করার নেই বলেও এনআরএসের তরফে জানানো হয় বলে অভিযোগ।
এরপর বাঙুর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেখানেও স্যালাইন ছাড়া কিছু দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর তনুশোভাকে খড়দহে ফিরিয়ে আনা হয়। চিন্তার রাত কাটে পরিবারের। অবশেষে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল তাঁকে।