By Election 2022: দুই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন, খুচরো ভোটেও ছড়াল রাজনীতির উত্তাপ, দাবি পুনর্নির্বাচনের

Asansol-Bongaon: বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট ছিল। ৮৩ শতাংশ ভোট পড়ে আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্যদিকে বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়ে ৮২.৭১ শতাংশ।

By Election 2022: দুই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন, খুচরো ভোটেও ছড়াল রাজনীতির উত্তাপ, দাবি পুনর্নির্বাচনের
বনগাঁয় উত্তেজনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2022 | 8:45 PM

বনগাঁ ও আসানসোল: দুই পুর এলাকায় উপনির্বাচন। দু’ জায়গায় একটি করে ওয়ার্ডে ভোট, কিন্তু তাতেও গন্ডগোলের খামতি রইল না। দু’ জায়গাতেই দিনের শেষে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলল বিরোধীরা। রবিবার আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ছিল। পুরসভার উপনির্বাচনেও ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি, বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠল ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোটেরও। দিনের শেষে শাসকদলের দাবি, ভোটে হারার ভয়ে এসব বলছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, এ ভোট প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।

আসানসোলের উপনির্বাচনে তুলকালাম। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ছিল রবিবার। জামুড়িয়ায় বহিরাগত ঢুকিয়ে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলল বিজেপি। প্রতিবাদে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভও দেখায় তারা। পাল্টা তৃণমূলও রাস্তায় নামে। এরপরই বচসা, হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকেও কড়া হতে হয় বলে অভিযোগ।

বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনেও বিক্ষিপ্ত গোলমালের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, গান্ধীপল্লিতে স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে কার্যত মুখোমুখি রণংদেহী মূর্তিতে দেখা যায় বিজেপি-তৃণমূলকে। বচসা থেকে হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। ভোটের শেষে বিক্ষোভ প্রতিবাদে নামে বিরোধীরা। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক হয়ে এখানে কেন স্বপন মজুমদার, উনিই তো বহিরাগত। শান্তিপূর্ণ ভোটকে অশান্ত করতে একত্রিত হয়েছিল।

বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট ছিল। ৮৩ শতাংশ ভোট পড়ে আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্যদিকে বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়ে ৮২.৭১ শতাংশ। আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে শিবশঙ্কর পাসোয়ান নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগ করে অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেস। যদিও এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পুনর্বার ভোট চেয়ে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে ধরনায় বসে বিরোধীরা।

অন্যদিকে বনগাঁয় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি। তারাও ফের ভোটের দাবি তুলেছে। তবে কোথাওই পুনর্নির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হয়নি। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এজেন্টদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। গুন্ডারা বের করেছে, পুলিশও বের করে দিয়েছে। নির্বাচনের নামে তো প্রহসন হচ্ছে।” অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “ভোট করতে দেবে না। এই সময় যদি মানুষ তৃণমূলকে হারানোর সুযোগ পায়, তা হলে তৃণমূলকে হারাবে। আর হারালে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আরও ধূলিস্যাৎ হবে।” যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “বিজেপি কোথায়? বিরোধী বলে কারা নিজেদের দাবি করছে? পরের পর ভোটে তো হেরেছে। তৃণমূলের কাছে হারে এরা। পরাজয়ের অজুহাত আগে থেকে তৈরি। এসব নাটক করে লাভ নেই।”