West Bengal Panchayat Election: গোঁজ অস্বস্তির মধ্যেই তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধদের’ মনোনয়ন প্রত্যাহার
TMC in North 24 Parganas: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪১ নম্বর আসনে তৃণমূলের অফিশিয়াল প্রার্থী হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। আর এই একই আসনে আবার মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইশা হক সর্দার।
বারাসত: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গোঁজ প্রার্থী শাসক দলের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, গোঁজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দলের প্রতীকে যিনি অফিশিয়াল প্রার্থী রয়েছেন, তাঁকেই সকলকে সমর্থন করতে হবে। কিন্তু কড়া হুঁশিয়ারির পরেও জায়গায় জায়গায় বিক্ষুব্ধদের মনোনয়ন জমা দিতে দেখা গিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দৃশ্যও ধরা পড়ল ক্যামেরায়।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪১ নম্বর আসনে তৃণমূলের অফিশিয়াল প্রার্থী হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। আর এই একই আসনে আবার মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইশা হক সর্দার। তবে, আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মতি ফিরল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার। মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন ইশা হক। যদিও ইশা হকের দাবি, প্রথমে তাঁকে বলা হয়েছিল প্রার্থী হওয়ার জন্য। বললেন, ‘এই সিটে আমাকে (মনোনয়ন) জমা দিতে না বললেই ভাল হত। আমাকে মনোনয়ন জমা দিতেই হবে, লড়তেই হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই।’ প্রথমে একবার মনোনয়ন জমা, সেই মতো প্রস্তুতি শুরু, তারপর আবার মনোনয়ন প্রত্যাহার… এমন ঘটনায় কিছুটা হলেও যে নিজের সমর্থক ও অনুগামীদের কাছে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ইশা, সে কথাও স্বীকার করে নিলেন নিজেই।
ইশার দাবি অনুযায়ী, প্রথমে তাঁকে বলা হয়েছিল টিকিট দেওয়ার কথা। তারপর আবার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে? প্রশ্ন করায় নেতার বক্তব্য, ‘কেন টিকিট দেওয়া হল না, তা বলতে পারব না। দল যা ভাল মনে করেছে, তা করেছে।’ তবে তৃণমূলের অন্দরে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলেই দাবি তাঁর। বললেন, ‘হতে পারে, আমাকে পছন্দ হয়নি, অন্য কাউকে পছন্দ হয়েছে।’ একইসঙ্গে নিজেকে দলের একনিষ্ঠ সৈনিক বলেও দাবি করেন তিনি। বললেন, ‘আমি দল করি। আমি নির্দলে কোনওদিন ভোটে লড়ব না।’ উল্লেখ্য, এর আগে টিকিট না পেয়ে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা চত্বরে যশোর রোড অবরোধ করেছিলেন ইশার অনুগামীরা।
তবে শুধু ইশা হকই নন, এমন আরও আছেন। জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসনে শাসক দলের অফিশিয়াল প্রার্থী এ কে এম ফরহাদ। সেই আসনেই আবার মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন আব্দুল রউফ। কিন্তু দলের টিকিট না পেয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন আব্দুল রউফও।