Basirhat: বাকি প্রায় ১ লক্ষ টাকা, চাইতে গেলেই মিলছে হুমকি! থানায় দ্বারস্থ মহিলা শ্রমিকরা
Women Protest: অভিযোগ, পুজোর আগে থেকেই তাঁদের সকলের বেতন বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ঠিকাদার
বসিরহাট: মজুরি না দিয়েই মহিলা শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল। ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ তারা।
জানা গিয়েছে, কলকাতার চিংড়িঘাটায় অবস্থিত একটি মৎস্য কোম্পানিতে কাজে যেতেন মহিলারা। সেখানে চিংড়ি মাছের প্রসেসিং এর কাজ করতেন তাঁরা। অভিযোগ, পুজোর আগে থেকেই তাঁদের সকলের বেতন বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ঠিকাদার সঞ্জিব। পাওনা টাকা চাইতে গেলে রীতিমতো কটুক্তি করা হতো তাদের। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি দেওয়া হতো হুমকি।
নাজ়মা খাতুন নামে এক মহিলা জানান,”অনেক দিন ধরেই টাকা-পয়সা দিচ্ছে না কনডাক্টর। টাকা চাইলেই বলে আজ দেব, কাল দেব। দিনের পর দিন তারিখের পর তারিখ দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু কোনও টাকা দিচ্ছে না। উল্টে বলছে কাজ করতে হলে কর, না করতে হলে না কর তবুও টাকা দিতে কপারব না এখন। পুজোর কয়েকদিন ধরেই এই টাকা আটকে দিয়েছে তারা। এই কারণে আজকে থানায় জানিয়েছি।”
আর এক মহিলা অভিযোগ জানিয়ে বলেন,” আমরা চিংড়িহাটায় মাছেন প্রসেসিং এর কাজ করি। ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা দিচ্ছে না। চাইতে গেলে হুমকি দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমরা অনেক টাকা পাব। আমরা চাইছি আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে যাক। প্রায় ১ লাখ ২৬ টাকা আমরা পাব কিন্তু কাউকেই টাকা দিচ্ছে না।”
প্রায় দু’বছর ধরে করোনায়(Corona) জর্জরিত দেশ। সংক্রমণের চেন ভাঙতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ করতে হয়েছে সরকারকে। যার কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। কাজ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ। দু’বেলা সংসার কীভাবে চলবে তা ভাবতে ভাবতেই মাথায় হাত পড়ছে অনেকের। এর মধ্যে পেট চালানোর দায়ে যে যেইভাবে পারছে উপার্জনের চেষ্টা করছে। কিন্তু তার মধ্যেও এক শ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের সামান্য লাভের জন্য অন্যদের ঠকাতে এখনও পিছু পা হচ্ছেন না। করোনার জেরে একে স্বামীরা কর্মহীন । কাজ হারিয়ে তারা দিশেহারা। তাই সংসারের হাল ধরতে মহিলারাই রীতিমতো বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়।
এদিকে, TET উত্তীর্ণদের জারি রয়েছে বিক্ষোভ। গতকাল জেলায় বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুরে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীরা বারাসত ডিপিএসসি অফিসে উপস্থিত হয়ে অনশনে বসেন। তাঁদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি তাঁদের।
সরকারি নিয়ম অনুসারে, চাকরিতে নিয়োগের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগামী দিনে তাঁরা আর চাকরিতে বহাল হতে পারবেন না। অতএব অবিলম্বে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা না হলে এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান ।
আরও পড়ুন: Weather Update: আকাশের মুখ ভার, তবে কি ফের বৃষ্টি কলকাতা? তারপরই কী শীত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদররা?