Road Accident: ভালবাসার দিনে গোলাপ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না বেলঘরিয়ার সায়ন্তনের, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের
Road Accident: হেলমেট না পরার কারণে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু নতুন নয়। ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে বারবার সচেতনতার পাঠ দেওয়া হলেও সবাই যে সর্বদা তা কানে তোলে এমনটা নয়। অনেকেই বলছেই এই যুবক সঙ্গে হেলমেট রাখলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন।

বেলঘরিয়া: ভালোবাসার দিনে গোলাপ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২১ বছরেই শেষ হয়ে গেল তরতাজা প্রাণ। মর্মান্তির পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বেলঘরিয়ার যুবকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সতীন সেন নগরের কাছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ওই এলাকা দিয়েই বাইক চালিয়ে গোলাপ নিয়ে ফিরছিলেন কুটিঘাট অঞ্চলের বাসিন্দা সায়ন্তন দাস। কিন্তু, কে জানত পথেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করে আছে বড় বিপদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সায়ন্তনের মাথায় কোনও হেলমেটও ছিল না। বাইকও ছিল অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। এদিকে রাত বাড়তেই আবার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হয়ে যায় দামাল লরির দাপাদাপি। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ দুই লরির রেষারেষির মধ্যেই পড়ে যান সায়ন্তন। চলন্ত বাইক নিয়ে দু’টি লরির মাঝে ঢুকে গেলেও আর বের হতে পারেননি। রাস্তাতেই পিষে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের।
খবর যায় পুলিশে। কিছু সময়ের মধ্যেই বেলঘরিয়া থানার পুুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রসঙ্গত, হেলমেট না পরার কারণে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু নতুন নয়। ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে বারবার সচেতনতার পাঠ দেওয়া হলেও সবাই যে সর্বদা তা কানে তোলে এমনটা নয়। অনেকেই বলছেই এই যুবক সঙ্গে হেলমেট রাখলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন। যদিও এলাকার অনেকেই বলছেন, ‘দোষ’ আছে লরি দু’টোর। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে সায়ন্তনের পরিবারে। শোকের ছায়া এলাকায়।





