একুশের বঙ্গযুদ্ধের ম্যাসকট জলদাপাড়ার একশৃঙ্গ বিশিষ্ট গন্ডার, খুশি এলাকাবাসী
এই ম্যাসকটকেই (Mascot) ব্যবহার করবে আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচনী (West Bengal Assembly Election 2021) দফতর। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার সামনে এই ম্যাসকটের উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচন আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
আলিপুরদুয়ার: একুশের বঙ্গযুদ্ধে (West Bengal Assembly Election 2021) এ বার নামতে চলেছে ম্যাসকটও (Mascot)। গন্ডার-রূপী এই ম্যাসকট শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduyar) জেলার জলদাপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেছে। বিধানসভা ভোটে জেলার নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারের জন্য এই ম্যাসকটকেই ব্যবহার করবে আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচনী দফতর। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার সামনে এই ম্যাসকটের উদ্বোধন করেন আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচন আধিকারিক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
ম্যাসকটের উদ্বোধন করে এ দিন জেলা নির্বাচন আধিকারিক সুরেন্দ্রকুমার সিনহা বলেন, “জাতীয় উদ্যান জলদাপাড়া বিখ্যাত হয়েছে এখানকার একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য। সেই কারণে এই জেলাকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে জলদাপাড়ার গন্ডারকে ম্যাসকট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।” এ দিন ম্যাসকট উদ্বোধনের পরেই ভোটারদের ম্যাসকট নিয়ে সেলফি তোলার হিড়িক লক্ষ্য করা যায়। ম্যাসকটের বুকে লেখা, ‘আসছি আমি ভোট দিতে, তুমিও ভুলো না ভোট দিতে।’
একশৃঙ্গ গন্ডারের আবাসস্থল হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত এই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। বনদফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৬ সাল থেকে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য হিসেবে পরিগণিত হয়। ২০১২ সালে জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানের তকমা পায়। ১৯৮৫ সালে এখানে গন্ডারের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ টি। সেই সময় থেকেই গন্ডারকে রক্ষা করার জন্য সংরক্ষণের উপরে জোর দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ চলে।
আরও পড়ুন: রেশনের হোম ডেলিভারি! তৃণমূলের ইস্তেহারে থাকছে বিরাট চমক
মোট ২১৬.৫৩ বর্গ কিমি জুড়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান গড়ে উঠেছে। এর আশপাশে রয়েছে ২৫ হাজার পরিবার। সেই হিসেবে প্রায় একলক্ষ মানুষ এর আশাপাশে বসবাস করে। অরণ্যের মধ্যে রয়েছে ১২ টি বনবস্তি। ফলে মানুষ ও পশুর সংঘাত হওয়া এখানে স্বাভাবিক। এ বার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একশৃঙ্গ গন্ডার নির্বাচন কমিশনের ম্যাসকটে স্থান পাওয়ায় খুশি বনকর্তা ও এলাকাবাসীরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও দীপক বলেন, “এটা ভাল খবর। এর ফলে জলদাপাড়ার একশৃঙ্গ গন্ডার ও তার সংরক্ষণ নিয়ে মানুষ আরও সচেতন হবেন।”
আরও পড়ুন: যোগ্য প্রার্থীই নেই, ৩০ আসনের দাবি থেকে সরছেন আব্বাস