শিয়রে শমন বজ্র! বঙ্গে মৃত আরও ১
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ইঁট ভাটায় কাজ করছিলেন দেবব্রত। সেইসময় আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সকলে নিরাপদ স্থানে পৌঁছলেও দেবব্রত পৌঁছতে পারেননি।
হাওড়া: ফের বঙ্গে বজ্রবিপদ! উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর থানার মাতাপাড়া কমলা ইটভাটায় শনিবার বজ্রাঘাতে মৃত্যু (death) হল এক শ্রমিকের। গুরুতর জখম আরও এক। মৃতের নাম দেবব্রত রায়। গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ইঁট ভাটায় কাজ করছিলেন দেবব্রত। সেইসময় আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। সকলে নিরাপদ স্থানে পৌঁছলেও দেবব্রত পৌঁছতে পারেননি। তাঁর সঙ্গেই তখন কাজ করছিলেন প্রফুল্ল ভাঙ্গি নামে এক ব্যক্তি। বজ্রাঘাতে দেবব্রত ঘটনাস্থলেই মারা যান (death)। গুরুতর জখম হন প্রফুল্ল। তাঁদের উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রফুল্লবাবুর চিকিৎসা চলছে। খবর দেওয়া হয়েছে দেবব্রতের পরিবারকেও।
চলতি মাসে রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে ২৯ জনের। গত বৃহস্পতিবার নদিয়ায় বাজ পড়ে মারা যান এক রাজমিস্ত্রী। গত এক সপ্তাহের মধ্যেই রানাঘাটে পরপর দুদিনে তিনজন, ভীমপুরে দুইজন এবং নবদ্বীপে একজনের মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। পরিবেশবিদদের একাংশের মতে মাত্রাতিরিক্ত বাজ পড়ার নেপথ্য়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বৃদ্ধি। সমীক্ষা বলছে, ২০১৯-২০২০-র মধ্যে একবছরের ব্যবধানে বাংলায় বাজের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। পরপর রাজ্যে বজ্রাঘাতের জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মৃতদের পরিবারের হাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলায় প্রশাসনের তরফ থেকেও চলছে সতর্কীকরণের কাজ। ইতিমধ্যেই, বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী টুইট করে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘শুধু রাজীব-কুণাল কি বুদ্ধিমান, আমরা সব গরু-ছাগল!’, তোপ কল্যাণের