Anubrata Mondal: জামিন নয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আর্জি অনুব্রতর, আবারও জেল হেফাজতের নির্দেশ

Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলার তদন্তের শুরুর দিকেই বীরভূমের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

Anubrata Mondal: জামিন নয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার আর্জি অনুব্রতর, আবারও জেল হেফাজতের নির্দেশ
অনুব্রত মণ্ডল (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2023 | 1:51 PM

আসানসোল: আবারও জেলে ঠাঁই হল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু এদিন জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রতর আইনজীবী। তবে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটা যাতে আংশিক খুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে অনুব্রতর তরফে। এদিন সকালে জেলে একদফা জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপর আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। আদালতে প্রবেশ করার সময় মোটামুটি শান্তই ছিলেন তিনি। মূলত বীরভূমে সম্প্রতি যে শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছিল, সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করে সিবিআই।

ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট খোলার আর্জি

গরু পাচার মামলার তদন্তের শুরুর দিকেই বীরভূমের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ওই রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই রাইস মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করে অনুব্রতর আইনজীবী আর্জি জানান যাতে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। সেই আবেদনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, যুক্তি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন জানাতে হবে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

২০০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের টাকা গিয়েছে রাইস মিলেও?

সম্প্রতি বীরভূমের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২০০ টির বেশি বেনামি অ্য়াকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে বেশিরভাগ অ্য়াকাউন্টে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর আছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এদিন আদালতে সিবিআই সেই অ্য়াকাউন্টের কথা বললে বিচারক জানতে চান, ওই সব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এই মামলার কী সম্পর্ক? সিবিআই জানিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে ভোলে ব্যোম ও শিব শম্ভূ রাইস মিলের যোগ থাকতে পারে। যাঁর স্বাক্ষর ছিল, তাঁকে ইতিমধ্যেই সিবিআই চিহ্নিত করে বয়ান রেকর্ড করেছে বলে সূত্রের খবর।

প্রতিদিনের মতো এদিনও আদালত কক্ষেই এক অনুগামীর সঙ্গে কথা বলতে যান অনুব্রত। তাঁকে বিচারক বলেন, আপনি এখানে কোনও কথা বলবেন না। আপনার হয়ে গেলে বেরিয়ে যান। বাইরে গিয়ে সেই অনুগামীর সঙ্গে মিনিট কয়েক কথা বলে গাড়িতে উঠে যান অনুব্রত।