Mysterious Death: দেবীর বোধনের দিন বিষাদের সুর কুলটিতে, বাড়ি থেকে উদ্ধার বাবা-মা-ছেলের নিথর দেহ

Deadbody Recover: বাড়ির ভিতর একটি ঘরে মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধ সুদীপ্ত রায়ের নিষ্প্রাণ দেহ। অন্য একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী শ্বেতা রায় ও ছেলে অগ্নিশংকর রায়ে ঝুলন্ত দেহ। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

Mysterious Death: দেবীর বোধনের দিন বিষাদের সুর কুলটিতে, বাড়ি থেকে উদ্ধার বাবা-মা-ছেলের নিথর দেহ
মৃতদেহ উদ্ধার (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2023 | 10:41 PM

আসানসোল: একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু। বাড়ি থেকে বেরল বাবা-মা-ছেলের নিথর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানা এলাকার বরাকরে। মৃতদের নাম সুদীপ্ত রায় (৬৪), শ্বেতা রায় (৫৯) এবং অগ্নিশংকর রায় (৩২)। বাড়ির ভিতর একটি ঘরে মেঝেতে পড়ে ছিল বৃদ্ধ সুদীপ্ত রায়ের নিষ্প্রাণ দেহ। অন্য একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্ত্রী শ্বেতা রায় ও ছেলে অগ্নিশংকর রায়ে ঝুলন্ত দেহ। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।

স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সুদীপ্ত রায় নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ঠিকাদারির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্যবসার কাজে অনেক জায়গায় ধার-দেনার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যাঙ্কেও ঋণ ছিল এবং সেই ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না বৃদ্ধ। চারিদিক থেকে ধার-দেনার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এদিকে সুদীপ্তবাবুর ছেলে অগ্নিশংকরও একটি বেসরকারি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই কাজও খুইয়েছিলেন অগ্নিশংকর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।

ঋণগ্রস্ত ওই পরিবারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটটিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। কথা বলছেন আশপাশের লোকজনের সঙ্গে। বাড়ি তেকে একটি পুটুলির মধ্যে কিছু সোনার গয়না ও ব্যাঙ্কের নথিপত্রও উদ্ধার করেছেন পুলিশকর্মীরা। ঋণের দায়ে আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ, সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।