Durga Puja: ৩০০ বছরের প্রাচীন আসানসোল গ্রামের পুজো আজও ঐতিহ্যের ধারক
Asansol: গ্রামবাসীর দাবি, আসান বনের জঙ্গল ও দামোদর তীরের উর্বর জমিতে বসবাস করতেন কাশীপুর রাজার দুই বীর লেঠেল নকড়ি রায় ও রামকৃষ্ণ রায়। বর্গী হানা রুখে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাঁরা। এরপরই রাজা তাঁদের হাতে আসানসোল মৌজা তুলে দেন।
আসানসোল: রেল, খনি এলাকা আসানসোল। মূলত রেল, খনিকে কেন্দ্র করেই এখানে শহরের বিকাশ হয়েছে। তবে এর ইতিহাস ১০০ বছরেরও প্রাচীন। এই শহুরে আসানসোলের সঙ্গে আসানসোল গ্রামের ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে। আসান গাছ আর শোল জমি অর্থাৎ উর্বর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা এই জনপদের ইতিহাস ৩০০ বছর প্রাচীন। মূলত আসানসোল গ্রামকে কেন্দ্র করে শহরের বিকাশ। একটা সময়ে একটা একটি বড় দুর্গাপুজো হতো। তবে এখন আসানসোল গ্রামে পুজোর সংখ্যাটা ৯ হয়েছে। শহরের মধ্যেই এখনও এক টুকরো গ্রামের ছোঁয়া।
গ্রামবাসীর দাবি, আসান বনের জঙ্গল আর দামোদর তীরের উর্বর জমিতে বাস করতেন কাশীপুর রাজার দুই বীর লেঠেল নকড়ি রায় ও রামকৃষ্ণ রায়। ১৭৪২-এর বর্গি হানা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাঁরা। এরপরই রাজা তাঁদের হাতে আসানসোল মৌজা তুলে দেন।
আসানসোলে গ্রামের পত্তন হয়, শুরু হয় দুর্গাপুজো। গ্রামের বড় দুর্গাপুজোর বয়স ২৮৯ বছর। সেই থেকেই পুজো শুরু। তারপর রায়দের পরিবার বড় হয়েছে, বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। এখন ন’টি দুর্গাপুজো হয় গ্রাম আসানসোলে।