Smoke in Train: শিয়ালদহ পৌঁছনোর আগেই যাত্রীরা দেখলেন প্রবল ধোঁয়া, চলন্ত ট্রেন থেকেই লাফ মারার চেষ্টা করলেন অনেকে
Smoke in Train: কামরার নীচে থাকা ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়ায় ওইভাবে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা পরে ওই ব্যাটারি ঠিক করা হয়।
আসানসোল: রাতের অন্ধকারে ট্রেনের কামরার নীচ থেকে আচমকা ধোঁয়া বেরতে শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই এত ধোঁয়া দেখে তৈরি হয় আতঙ্ক। গন্তব্যে পৌঁছতে তখনও কয়েক ঘণ্টা দেরি, তাই চলন্ত ট্রেন থেকেই নামার চেষ্টা করলেন অনেকে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের সীতারামপুর স্টেশনের কাছে। ঘটনায় কেউ গুরুতর জখম না হলেও, অল্প বিস্তর আঘাত লেগেছে অনেকেরই। কী কারণে এ ভাবে ধোঁয়া বেরতে দেখা গেল, তা জানতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন আধিকারিকরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ট্রেন ছাড়ে।
শিয়ালদহ- বালিয়া ডাউন এক্সপ্রেস ট্রেনে রবিবার রাতে এ ভাবে আগুনের আতঙ্ক ছড়ায়। সংরক্ষিত D4 কামরার নীচ থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরতে দেখেন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পালাতে গিয়ে পড়ে যান অনেকে। জখম হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কামরার নীচে থাকা ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়ার কারণে ওই ধোঁয়া বের হচ্ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা পরে ওই ব্যাটারি ঠিক করে ট্রেনটি ফের রওনা হয়।
এখ যাত্রী জানান, রাত হয়ে গেলেও তখনও অনেক যাত্রী জেগে ছিলেন। তাঁরাই প্রথম দেখতে পান ধোঁয়া। সঙ্গে সঙ্গে খবর ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনের মধ্যে। ট্রেন কোনও ভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। তাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন, ট্রেনে আগুন লেগে গিয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় সব কামরা থেকেই নামার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। পালাতে গেলে কারও পায়ে আঘাত লাগে, কারও কোমরে আঘাত লাগে। তবে গুরুতর আহত হননি কেউ। খবর পেয়ে রাতেই পৌঁছে যান আধিকারিকরা। তাঁরা যাত্রীদের আশ্বস্ত করে জানান, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
মাস খানেক আগে নবদ্বীপ ধাম-বালুরঘাট এক্সপ্রেসে এমন ভাবেই আতঙ্ক ছড়ায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুর এলাকার কাছে ট্রেনটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরকে শুরু করেছিল। সে বারও অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন।