‘ফেলো কড়ি, বসো পরীক্ষায়!’ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ অভিভাবকরা

যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোষাধ্যক্ষ রবীন্দর সিং জানান, সব ছেলেমেয়েরাই যাতে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

'ফেলো কড়ি, বসো পরীক্ষায়!' স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ অভিভাবকরা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2021 | 6:12 PM

পশ্চিম বর্ধমান: করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন। অনলাইনেই চলছে ক্লাস, পরীক্ষা, মূল্যায়ন পদ্ধতি। সম্প্রতি, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ফি মকুবের নির্দেশ আগেই দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, দুর্গাপুরে দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি। দুর্গাপুরের একটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে ফি দিতে না পারার জন্য পড়ুয়াদের অনলাইন পরীক্ষায় (Online Examination) বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন অভিভাবকরা।

দুর্গাপুর পাবলিক স্কুলের অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজ্যে ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সোমবার ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়। শুধু তাই নয়, কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল ফি মকুব করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এই ‘অনিশ্চিত’ পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সমস্যায় পড়বে তারা। অন্তত, সুবিধা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সদর্থক পদক্ষেপ করুক স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনটাই আবেদন করেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, তাঁদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা তো করেইনি উপরন্তু, পরীক্ষা চলাকালীন অনলাইন পোর্টালটি (Online portal) বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা।

টু্ম্পা দে নামে এক পড়ুয়ার অভিভাবকের কথায়, “আমার মেয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ে। ওর একমাসের ফি দেওয়া হয়নি। সোমবার যখন পরীক্ষা দিতে বসে, তখন আচমকা অনলাইন পোর্টাল টা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের তরফে এসএমএস করে জানানো হয়, ফি না দিতে পারার জন্য আমার মেয়ে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। এই লকডাউনে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল যদি এভাবে চাপ দেয়, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে আমরা তবে কোথায় যাব!”

যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোষাধ্যক্ষ রবীন্দর সিং জানান, সব ছেলেমেয়েরাই যাতে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনওভাবে, কোনও একজনের যাতে সমস্যা না হয় সেইদিকটাও দেখা হচ্ছে। অনেকেই ফি দিতে পারেনি। তারজন্য নোটিস গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা বন্ধ করা হয়নি। অভিভাবকরা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন।

আরও পড়ুন: জন্মেই মারণ করোনার শিকার! ৬দিনেই সুস্থ হয়ে মায়ের কোলে ফিরল একরত্তি