Didir Suraksha kavach: রাস্তা না হলে ভোট বয়কটের ডাক, দিদির দূত তাপস বললেন, ‘ভালই হবে’
Asansol: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে রাস্তা, নিকাশি নালার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি না মানা হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করা হবে বলেও জানান তাঁরা।
আসানসোল: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে শনিবার রানিগঞ্জ বল্লভপুর পঞ্চায়েতের বক্তারনগরে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়লেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার ওই গ্রামে তিনি ঢোকার আগেই গ্রামজুড়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার পড়ে যায়। একাধিক দাবিতে সম্বলিত এই পোস্টার বক্তারনগর গ্রাম রক্ষা কমিটির নামে দেওয়া হয়।
তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে রাস্তা, নিকাশি নালার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি না মানা হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করা হবে বলেও জানান তাঁরা। দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে তাপসবাবুর দাবি ভোট বয়কট করলে ভালই হয়। প্রচুর কাজ করার পরেও এই গ্রাম থেকে তিনি হেরেছেন। আবার এও দাবি করেন তিনি দশ বছর যখন ওই অঞ্চলে বিধায়ক ছিলেন তখনই যা কাজ হওয়ার হয়েছে। বর্তমান সময় কোনও কাজ হয়নি। আর হয়নি বলেই প্রাক্তন বিধায়ককে হাতের কাছে পেয়ে গ্রামের মানুষ তাদের দাবি জানিয়েছেন। যদিও দাবিগুলো খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে তাও হচ্ছে ‘দিদির সুরক্ষা কবজ’। সেখানে জনগণে কোনও সুরক্ষার ব্যাপার নেই। পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি উন্নয়ন না হওয়া আজ গ্রামের বাসিন্দারা খুব করে দিচ্ছেন সেই পঞ্চায়েত ভোটেই বয়কটের পোস্টার দিচ্ছেন। এটা রাজ্য সরকারের লজ্জা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মান্নালাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের মানুষ যে দাবি তুলেছেন তা ন্যায্য। বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কথা শোনেননি। তিনি একাংশ তৃণমূল নেতার কথা শুনে চলেন। তাই এই অবস্থা।” আর এই ঘটনার মধ্যে সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ্ব।