Asansol: একশোর বেশি পড়ুয়া, কিন্তু স্কুলে মাস্টার একজনই, এ ভাবে কতদিন? প্রতিবাদে যা করলেন অভিভাবকেরা
Asansol: অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে পাঁচটি ক্লাসরুম রয়েছে। সেখানেই বসে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। কিন্তু শিক্ষক মাত্র একজনই। তিনিই যতটা পারেন ক্লাস বদলে বদলে পড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তারপক্ষে একসঙ্গে এত ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
রানিগঞ্জ: কোথাও স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, কোথাও পঠনপাঠন নিয়ে দীর্ঘ সমস্যা, কোথাও আবার সমস্যা পরিকাঠামো নিয়ে, কোথাও মিড ডে মিল নিয়ে। বিগত কয়েক বছরে বাংলা থেকে এররকমই গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ সামনে এসেছে। কিন্তু, সবথেকে বেশি মনে উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে শিক্ষক নেই। আসানসোল পুরনিগম পরিচালিত ৯০ নম্বর ওয়ার্ডে রানিগঞ্জ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। স্কুলে রয়েছে একজন শিক্ষক। তিনিই যতটা পারেন ধরে রয়েছেন স্কুলের হাল। এদিকে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা শতাধিক। কবে হবে নতুন শিক্ষক নিয়োগ? কবে ফের ঠিকঠাকভাবে চলবে পড়াশোনা? প্রশ্নটা দীর্ঘদিন থেকেই তুলে আসছিলেন অভিভাবকেরা। কিন্তু, উত্তর না মেলায় এবার একেবারে রাস্তা অবরোধ করে উগরে দিলেন ক্ষোভ। ঘটনাকে কেন্দ্রে করে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে এলাকার প্রশাসনিক মহলে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে পাঁচটি ক্লাসরুম রয়েছে। সেখানেই বসে প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। কিন্তু শিক্ষক মাত্র একজনই। তিনিই যতটা পারেন ক্লাস বদলে বদলে পড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তারপক্ষে একসঙ্গে এত ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়াই দুঃস্থ পরিবারের। তাই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও অন্যত্র পড়াশোনার সুযোগ এত সহজে হাতে নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলে এলেও খেলাধূলা করে আর মিড ডে মিল খেয়েই বাড়ি চলে যেতে হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, স্কুলে যে সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে তাঁরা বারবার সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু কেউ তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি। সমস্যার সমাধানও হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এদিন তাঁরা পথ অবরোধের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে উত্তেজনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় আসেন আসানসোল পুরনিগমের রানীগঞ্জের বোরো ২ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন। তিনিই কথা বলেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে। পুরো বিষয়টি তিনি পুরনিগমে জানাবেন, দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাসের পরেই শেষ পর্যন্ত ১ ঘণ্টা পর উঠে যায় অবরোধ।