Voter Card Recover: চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভোটার কার্ড, ভোটার লিস্ট, সরকারি কাগজ! বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে এসবই চলে?

Durgapur: দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা গ্রামপঞ্চায়েতের বাঁশগড়া এলাকায় জঙ্গলের ধারে রয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির পরিত্যক্ত বর্জ্য নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। সোমবার সকালে সেখানেই স্থানীয়রা দেখেন চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভোটার কার্ড, ভোটার তালিকা।

Voter Card Recover: চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভোটার কার্ড, ভোটার লিস্ট, সরকারি কাগজ! বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে এসবই চলে?
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভোটার কার্ড।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2024 | 3:38 PM

দুর্গাপুর: বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কেন্দ্রের ভিতর হাজার হাজার ভোটার কার্ড পড়ে থাকার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল দুর্গাপুর ফরিদপুরে। বর্জ্য নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের ভিতর পড়ে ছিল প্রচুর ভোটার কার্ড, ভোটার লিস্ট। কীভাবে এত ভোটারকার্ড এখানে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহা গ্রামপঞ্চায়েতের বাঁশগড়া এলাকায় জঙ্গলের ধারে রয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির কঠিন তরল বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্র। সোমবার সকালে সেখানেই স্থানীয়রা দেখেন চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভোটার কার্ড, ভোটার তালিকা। নানা সরকারি জিনিসও পড়ে ছিল বলে অভিযোগ। দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আদিবাসী গাঁওতার সদস্য সুনীল বেসরা জানান, সকালে খবর পেয়েই এসে দেখেন চারদিকে ভোটার কার্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এলাকায় যদি কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটে, তাতে তো এলাকার লোকজন জড়িয়ে পড়বেন বলেও দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মণ্টু টুডুর কথায়, “ভোটার কার্ড হোক বা আধার কার্ড, ঠিকঠাকভাবে হাতে পেতে তো আবেদন করে করে মানুষ শেষ হয়ে যায়। নামে ভুল, ঠিকানায় ভুল এই চলে। তার উপর আবার এসব চলছে।” এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিজেপি নেতা শ্রীদীপ চক্রবর্তী বলেন, “যেখানে বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয়, সেখানে হাজার হাজার ভোটার কার্ড পড়ে আছে। ভোটের সময়ই তো আমরা বলেছিলাম পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের সমস্ত বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে সাধারণের ভোটার কার্ড কেড়ে নেয়। রিগিং করে ভোটে জেতে। আজ প্রমাণ হয়ে গেল।”

পাল্টা তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, পুলিশ তদন্ত করুক। দোষী তো ধরা পড়বেই। তবে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করে এভাবে বাজার গরম করে বিরোধীদের খুব একটা লাভ হবে না। দুর্গাপুর-ফরিদপুরের বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় জানান, আমাদের নজরে এসেছে বিষয়টি।