অজয়ের চর খুঁড়তেই একের পর এক শিবলিঙ্গ; ‘মহামারী থেকে বাঁচাতে পাতাল ফুঁড়ে উঠে এসেছেন মহাদেব’, বলছেন স্থানীয়রা

পশ্চিম বর্ধমান: অজয়ের বালির চর থেকে উঠে এল একের পর এক শিবলিঙ্গ (Shiva)। ‘অলৌকিক’এই ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার হইচই পড়ে যায় দুর্গাপুরের লাউদোহা ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। কাতারে কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেন অজয়ের তীরে। মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে স্বয়ং মহাদেব এসেছেন বলে রটে যায় এলাকায়। ধূপধুনো দিয়ে সেখানেই শুরু হয় পুজোপাঠ। গোগলা গ্রামপঞ্চায়েতের নতুনডাঙার […]

অজয়ের চর খুঁড়তেই একের পর এক শিবলিঙ্গ; 'মহামারী থেকে বাঁচাতে পাতাল ফুঁড়ে উঠে এসেছেন মহাদেব', বলছেন স্থানীয়রা
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 13, 2021 | 10:15 PM

পশ্চিম বর্ধমান: অজয়ের বালির চর থেকে উঠে এল একের পর এক শিবলিঙ্গ (Shiva)। ‘অলৌকিক’এই ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার হইচই পড়ে যায় দুর্গাপুরের লাউদোহা ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। কাতারে কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেন অজয়ের তীরে। মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে স্বয়ং মহাদেব এসেছেন বলে রটে যায় এলাকায়। ধূপধুনো দিয়ে সেখানেই শুরু হয় পুজোপাঠ।

গোগলা গ্রামপঞ্চায়েতের নতুনডাঙার পাশেই বয়ে গিয়েছে অজয়। নিয়ম করে সেখানে বালি তুলতে যান এলাকার লোকজন। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন অজয় থেকে বালি তোলার সময় একটি শিবলিঙ্গ দেখতে পান এলাকার লোকজন। তবে খুব একটা বিশেষ গুরুত্ব তাঁরা দেননি। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎই বালি খুঁড়তে একটি মাঝারি আকারের শিবলিঙ্গ উঠে আসে। তারা ধরে নিয়েছিলেন কেউ হয়ত অজয়ের চরে তা রেখে গিয়েছিল। বালির স্তূপে তা ঢাকা পড়ে যায়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের বালি তুলতে গিয়ে একই ঘটনার সম্মুখীন হন এলাকার লোকজন। এবার অজয়ের চর থেকে ৯টি শিবলিঙ্গ উঠে আসে। মুহূর্তে সে খবর রটে যায় গ্রামে গ্রামে। স্বয়ং মহাদেব এই মহামারী থেকে তাঁদের রক্ষা করতে এসেছে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন এলাকার লোকজন। যে যাঁর বাড়ি থেকে ধূপধুনো, বেলপাতা-সহ অন্যান্য পুজোর সামগ্রী নিয়ে ছুটে আসেন। মন্ত্রোচ্চারণ করে শুরু হয় পুজোপাঠ। শিবলিঙ্গের সামনে ক্রমেই বাড়তে থাকে খুচরো পয়সার স্তূপ।

আরও পড়ুন: ‘বাংলাই খারাপ’, অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে বিষোদগার ধনখড়ের

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, করোনা থেকে উদ্ধার করতে মহাদেব পাতাল ফুঁড়ে উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মালা বাদ্যকর বলেন, “আমাদের গ্রামে যখন উঠেছে বাবা, গ্রামেই যেন থাকে। আমরা গ্রাম থেকে নিয়ে যেতে দেব না। একটা সমস্যায় পড়েছি, করোনার সমস্যা, বাবাকে নিয়ে যেতে দেব না। বাবাকে গ্রামের মন্দিরে বসাব।”

খবর পৌঁছয় প্রশাসনিক মহলেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লাউদোহা ফরিদপুর থানার পুলিশ এবং বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার পুলিশ। এ বিষয়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিডিও দেবজিৎ দত্ত জানান, তাঁদের কাছে খবর আসা মাত্রই শিবলিঙ্গগুলি নজরদারির জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। সরকারি যা নিয়ম রয়েছে তা মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে, জানিয়েছেন বিডিও।