AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অক্সিজেন বিক্রিতেও সক্রিয় জামতাড়া গ্যাং, ৬০ হাজার টাকা খোয়ালেন প্রতারিত

গত বছর লকডাউনে পিএম কেয়ার ফান্ডের নামে জামতাড়া গ্যাং সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে বহু টাকা প্রতারণা করে। গ্রেফতার হয় একাধিক প্রতারক। ত

অক্সিজেন বিক্রিতেও সক্রিয় জামতাড়া গ্যাং, ৬০ হাজার টাকা খোয়ালেন প্রতারিত
প্রতীকী চিত্র
| Updated on: May 14, 2021 | 4:12 PM
Share

আসানসোল : করোনা (Corona) আবহে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিফ্লো কিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ তো ছিলই। এবার অক্সিজেন নিয়ে ফের উঠে এল জামতাড়া গ্যাং-যোগ অভিযোগ। অক্সিজেন খুঁজতে গিয়ে সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে এক সমাজকর্মী। খোয়ালেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

সোশাল মিডিয়ায ফাঁদ পেতেছে সাইবার ক্রাইম গ্যাং। করোনার প্রথম দফায় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষিতে উঠে এসেছিল জামতাড়া গ্যাং-এর যোগ। এবার এই গ্যাং নেমে পড়েছে অক্সিজেন যোগানের নামে আর্থিক প্রতরণায়। এমনই ঘটনা সামনে এল আসানসোলের কুলটিতে।

ঠিক কী ঘটেছে?

অঙ্কিতা সরকার নামে এক পুরনিগমের কর্মী সমাজসেবা কাজের সঙ্গে যুক্ত। করোনা আবহে দুঃস্থ মানুষদের সেবা করতে গিয়ে তিনিই প্রতারণা চক্রের শিকার হলেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কিতার অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে কলকাতার অক্সিজেন কেয়ার নামে একটি সংস্থার কাছ থেকে পাঁচটি দশ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পাঁচটি কিটের অর্ডার দেন তিনি। ওই সংস্থা্র ঠিকানা দেওয়া ছিল নরেন্দ্রপুরে। ১১ মে সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাদের কথা মতো তিনি চার দফায় প্রায় ৫৮ হাজার টাকা দেন। সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, তিন ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে যাবে তাঁর কাছে। কিন্তু তার পরের পৌঁছয়নি। এর পর যোগাযোগ করলে কখনও বলা হয়েছে এখন অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব চলছে, কখনও বলা হয়েছে, কয়েকটা দিনের মধ্যে পাঠানো হবে।

শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার না পেয়ে অঙ্কিতা দেবী কুলটি থানা ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই সক্রিয় হয় পুলিশ। প্রতারকদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন করে পুলিশ জানতে পারে এই ফোন করা হয়েছে বিহারের পাটনা থেকে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ যে সিম কার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি হুগলির কোনও এক মহিলার নামে রয়েছে।

গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলটি পুলিশ ও সাইবার সেল। এই ঘটনায় আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্র কাজ করছে বলে মত পুলিশের। তাদের প্রাথমিক ধারণা এর পিছনে থাকতে পারে “জামতাড়া গ্যাং”। গত বছর লকডাউনে পিএম কেয়ার ফান্ডের নামে এই গ্যাং সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন ছড়ায়। বহু টাকা লুঠ করে তারা। এবার মানুষের অক্সিজেনে চাহিদা দেখে সোশাল মিডিয়ায় ফাঁদ পেতে বসেছে এই চক্র।

আরও পড়ুন: হোয়াটস্যাপে এসেছিল ম্যাসেজ, রেমডিসিভির পেতে ৬০০০ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন চিকিৎসক, তারপরেই বেপাত্তা প্রেরক! 

এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রতারিত যুবতীর দাবি, তাঁর মতো অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারিত হয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষ ফোন করে তাঁকে জানিয়েছেন একই দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা। তিনিই প্রথম সমস্ত প্রমাণ সহ আইনের দারস্থ হলেন। পুলিশের বার্তা, এ ব্যাপারে সবার সতর্ক হওয়া উচিত।