Dilip Ghosh : ‘এত নাটকের কী দরকার ছিল’, বাবুলের শপথ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

Dilip Ghosh : রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার। এই নিয়ে জটিলতার জন্য রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।

Dilip Ghosh : 'এত নাটকের কী দরকার ছিল', বাবুলের শপথ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ নিয়ে কেন জটিলতা তৈরি করেছিল শাসকদল, প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 11:13 AM

খড়গপুর : ছিলেন বিজেপির সাংসদ। গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হন। জিতেওছেন। কিন্তু, বিধায়ক পদে গায়ক-রাজনীতিক বাবুল সুপ্রিয়র ( Babul Supriyo) শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাবুলকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব নেন ডেপুটি স্পিকারকে। প্রথমে নিমরাজি হলেও ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যাই আজ বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আজ খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজ্যপালের ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তিই যখন শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন, তাহলে এত নাটকের কী দরকার ছিল।

বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর সাংবিধানিক অধিকার রাজ্যপালের। তবে রাজ্যপাল চাইলে কারও উপর সেই শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন। সাধারণভাবে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষকেই মনোনীত করেন রাজ্যপাল। কিন্তু, বাবুল সুপ্রিয়র শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপাল মনোনীত করেন ডেপুটি স্পিকারকে। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে নিমরাজি ছিলেন। বিধানসভার তরফেও এই নিয়ে বৈঠকে বসেন সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, তাপস রায়, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুল নিজে রাজ্যপালের কাছে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন। রাজ্যপাল সেই অনুরোধ খারিজের পাশাপাশি বাবুলকে মৃদু ভর্ৎসনা করেন। শেষপর্যন্ত রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার।

আজ খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণ ও চা চক্রে যোগ দিয়ে শাসকদলকে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করলেন দিলীপ। বাবুলের শপথগ্রহণের জটিলতা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “ফালতু জটিলতায় পড়েন কেন ওঁরা। শেষ পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারই বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তাহলে কেন এত নাটক করতে গেল শাসকদল।”

ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে গতকাল রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হবে। শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে দিলীপ বলেন, “কেন শুভেন্দু এত কথা বলেছেন সেটা উনি বলতে পারবেন। তবে যে দিকে পরিস্থিতি যাচ্ছে, সেকথা ভেবেই হয়তো উনি এই কথা বলেছেন যে এই সরকার বেশিদিন চলবে না।”

যেকোনও ইস্যুতে বিজেপির রাজভবনে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, “শুধু আমরা কেন, রাজ্যপালের কাছে সবাই যান। সিপিএম, কংগ্রেস যায়। তৃণমূলের নেতারাও যান। অনুরোধ করেন, আর বেশি টাইট দেবেন না। কেন হাতে পায়ে ধরতে যান।”

কলকাতার কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুর সেনা হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু হয়েছিল গলায় ফাঁস লেগে। আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ বন্ধ খামে কী লেখা রয়েছে, আদালত কী তা বলেছে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়েও তো দেওয়া হতে পারে।”