ভোটপর্বে ঘরছাড়া, ফিরতেই ‘হামলা’, মাথায় ৬টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালে বিজেপি কর্মী!

TMC BJP Clash: গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটরপর্ব মিটতেই ঘরছাড়া ছিল রমেশ, আশিস-সহ বেশ কয়েকজন। শনিবার তাঁরা বাড়ি ফিরতেই রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দু্ষ্কৃতীরা লাঠি-রড-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

ভোটপর্বে ঘরছাড়া, ফিরতেই 'হামলা', মাথায় ৬টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালে বিজেপি কর্মী!
আক্রন্ত আশিস পোড়িয়া, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 9:11 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে যখন রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (CBI), তখন, দাসপুরে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি। অভিযোগ, ভোটপর্বে ঘরছাড়া রমেশ পোড়িয়া, তাঁর ভাই আশিস পোড়িয়া-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী শনিবার গভীর রাতে গোপনে বাড়ি ফিরে আসেন। সেই রাতেই তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুরুতর আহত রমেশ ও আশিস। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটপর্ব মিটতেই ঘরছাড়া ছিল রমেশ, আশিস-সহ বেশ কয়েকজন। শনিবার তাঁরা বাড়ি ফিরতেই রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দু্ষ্কৃতীরা লাঠি-রড-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘর থেকে টেনে এনে রমেশ ও আশিসকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। দুইভাইয়ের মধ্যে রমেশ গুরুতর আহত। তাঁকে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে তাঁর। আপাতত সেখানেই চিকিত্‍সাধীন তিনি। দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।

আক্রান্ত রমেশের ভাই আশিসের কথায়, “শনিবার রাতে ফেরার পর আমাদের বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে চড়াও হয়। আমাদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলে। কিন্তু, আমরা যোগ দিতে চাইনি। এই কারণে আমাদের মারধর করা হয়। রড,বাঁশ,লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ওরা প্রায় পনের-ষোল জন একসঙ্গে এসে চড়াও হয়েছিল। রড-লাঠি দিয়ে তো মেরেইছে। মাথায় কাচের বোতল ভেঙে দিয়েছে। দাদার মাথায় ৬টা সেলাই পড়েছে।”

হামলার ঘটনায় ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক বলেন, “পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও অভিযোগ নেয়নি। ছেলেগুলো ভোটের সময় থেকে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, ভয়ে। ফেরার পর একরাতও কাটল না। মারধর করে প্রায় মেরে ফেলে দেওয়ার মতো অবস্থা। রমেশ পোড়িয়ার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। মাথায় ৬টা সেলাই পড়েছে। এটা কী রাজনীতি! তৃণমূল আসলে কোনও বিরোধী দলকে এখানে থাকতে দেবে না।”

যদিও গোটা ঘটনায় মনগড়া বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি ও এবিভিপির নিজেদের মধ্যে ঝামেলা থেকে এই আক্রমণ। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূলকে বদনাম করতে এই মিথ্যাচার করছে বিজেপি বলেই দাবি ঘাসফুলের।  রবিবারই আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার রাজ্য়সড়ক আটক করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে ‘পেছন থেকে হামলা’, অশান্ত ‘অর্জুন গড়’