Daspur: ‘পরের গাড়িতে আসুন’, স্রেফ একটি কারণেই যুবককে ‘রিজেক্ট’ করল ছ-ছ’টা বাস
Daspur: দাসপুরের যুবক অভ্রজিত অধিকারী। জন্ম থেকেই দুটি পায়ের সমস্যা। যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন ট্রাই সাইকেল। অভ্রজিতের দাবি, একটা ঋণ নেওয়ার জন্য হাওড়া যাওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল তাঁর।
ঘাটাল: বিশেষভাব সক্ষম তিনি। পায়ের সমস্য়া। হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে চলেন! আর স্রেফ এই কারণে বাসে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। বিশেষভাবে সক্ষম এক যুবকের সঙ্গে অমানবিক আচরণ বাসকর্মীদের। অভিযোগ, যাত্রীবাহী বাসে উঠতে দিচ্ছেন না বাসের হেল্পার, কনডাক্টররাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একের পর এক গাড়িচালকের কাছে কাতর আবেদন করেতেন তিনি, বলেছেন, “আমি পয়সা দেব, আমাকে হাওড়া নিয়ে চলুন… একটা সিটের ব্যবস্থা করে দেন…” কিন্তু একটিও গাড়িতে তাঁকে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অমানবিকতার সাক্ষী থাকল মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দারা।
দাসপুরের যুবক অভ্রজিত অধিকারী। জন্ম থেকেই দুটি পায়ের সমস্যা। যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন ট্রাই সাইকেল। অভ্রজিতের দাবি, একটা ঋণ নেওয়ার জন্য হাওড়া যাওয়া খুবই প্রয়োজন ছিল তাঁর। তাই সোমবার সকাল থেকেই দাসপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে বাসের অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু একের পর এক বাস চলে যাচ্ছে, কনডাক্টরের কাছে তিনি আবেদন করছেন, কিন্তু তিনি হাঁটতে অক্ষম দেখেই, উঠতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
অথচ সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি, সব বাসেই বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা থাকে। খবর পেয়ে দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় পুলিশ পাঠায়। তারপর পুলিশকর্তা গিয়ে এক বাসচালককে ধমক দিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁকে উঠিয়ে দেন। কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কেবল হাঁটতে অক্ষম, ট্রাই সাইকেল ব্যবহার করেন বলেই কি তাঁকে বাসে উঠতে দেওয়া হয় না। এদিকে ঠাসাঠাসি করে বাঁদুর ঝোলা ভিড় করতে বাস কনডাক্টররা যেখানে সিদ্ধহস্ত!