Dilip Ghosh: ‘গ্রেফতার করার ক্ষমতা থাকলে করুক’, মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
Dilip Ghosh: আচমকা নিয়োগ দুর্নীতি-বিতর্কে দিলীপ ঘোষের নাম জড়িয়েছে। আগেই প্রকাশ্যে আসে, চাকরি চুরি কেলেঙ্কারিতে মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপের ফ্ল্যাটের দলিলের খোঁজ মিলেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: “যা বলার বলে দিয়েছি। অ্যারেস্ট করার ক্ষমতা থাকলে অ্যারেস্ট করুক।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে এবার রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে নয়, এদিন নিজের এলাকা খড়্গপুরে রয়েছেন দিলীপ। সেখানে সকালে প্রাতঃভ্রমণের পর চা চক্রে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আচমকা নিয়োগ দুর্নীতি-বিতর্কে দিলীপ ঘোষের নাম জড়িয়েছে। চাকরি চুরি কেলেঙ্কারিতে মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপের ফ্ল্যাটের দলিলের খোঁজ মিলেছে। সিবিআইয়ের সিজার লিস্টে জ্বলজ্বল করছে সেই দলিলের কথা। এ বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিষয়টি প্রকাশ্যের আসার পর ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা রওনা হওয়ার পথে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘর থেকে কারও দলিল পাওয়া গিয়েছিল। তখন তাঁকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। ঠিকই করেছে। কিন্তু এ বার বিজেপি নেতার দলিল কেন এমন একটা প্রতারকের ঘরে পাওয়া গেল? এ ক্ষেত্রে কেন ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হবে না?’’ মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপের ভিলার দলিল মেলাতেই বিতর্ক মারাত্মক দানা বেঁধেছে।
সিআইডি দিয়ে তদন্ত করানোর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দিলীপও। জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলের মানুষ ওঁকে পছন্দ করেন না। ১২ বছর ওঁকে লোক সুযোগ দিয়েছেন, তিন বার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর কথায়, কথায় জঙ্গলমহল চলে আসেন। কিছু করেনি বলে জঙ্গলমহলের লোক তাকে বিদায় দিয়েছে। ওঁ বারে বারে এখানে আসেন। আদিবাসীদের সঙ্গে নাচেন, ধামসা মাদল বাজান, অন্যের তেলেভাজা দোকান দখল করে চপ বিক্রি করেন।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “এই যে নাটক করেন, বাচ্চা কোলে নিয়ে ছবি তোলেন। আদিবাসীরা চোখে চোখ রেখে বলছেন আমাদের। যেটা আমরা বলতাম। আজ শুনতে হচ্ছে ওঁকে।”
দিলীপ ঘোষের আরও কটাক্ষ, “ভোটের আগে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বলেছিলেন, হাজার টাকা করে দেব। তা এক মাস দিয়েই বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা নেই বলে।” জঙ্গলমহলবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।