Ghatal: ঘাটালে ১৩৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতি! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ঘাটালের চাষিরা

Ghatal: ঘাটাল মহকুমা কৃষি অধিকারিক শ্যামাপদ সাঁতরা বলেন, "এই বৎসর কয়েক দিনের এই বৃষ্টিতেই এই বন্যায় ১৩,৬৮০ হেক্টর, কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে, ২০৬ টি মৌজার, সবজি খতিয়ে হয়েছে ৬৮০ সেক্টর কৃষি জমির, আর ১২,৮৩০ সেক্টর কৃষি জমি ধানের ক্ষতি হয়েছে।"

Ghatal: ঘাটালে ১৩৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতি! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ঘাটালের চাষিরা
ঘাটালে ফসলের ক্ষতি Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2023 | 8:16 AM

ঘাটাল: নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। তাই মাঠেই পচছে বিঘের পর বিঘে জমি ধান গাছ। পুজোর আগে চরম দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার ১ ব্লকের শতাধিক কৃষক পরিবার। যদিও মহকুমা কৃষি দফতর থেকে পাওয়া খবর এই কয়েক দিনের বন্যায় ঘাটালে ১৩৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি, তার ওপরে ডিভিশন ছাড়া জল, সেই জল ঢুকে চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকের, মনোহরপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর, পাইকপাড়া, খলকপুর, কুলদহ, সীতারামপুর, চাঁদুর মৌজার বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি ধান ডুবে জলের তলায়। ধান দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ দিন জলে ডুবে থাকার কারণে পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর এতেই দিশেহারা এলাকার কৃষকেরা। শুধু চন্দ্রকোণা নয়, ঘাটাল ও দাসপুরেও একটি ঘটনা।

এলাকার কৃষকদের দাবি, কৃষি প্রধান এলাকা কৃষির উপরে নির্ভরশীল তাই কৃষকরা ভেবেছিল এই বছর হয়তো, ধান ভালো হবে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল জমে নষ্ট হয়ে গেল সেই ধান। কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর সেই কারণেই পচে গিয়েছে ধান। এমনকি সম্পূর্ণভাবে জল কবে সরে জমির চাষের উপযোগী হবে, তাও জানেন না কেউ।

কৃষকদের দাবি, ধানের পর এই জমিতে আলু ও সর্ষের চাষ হত, সেই চাষ হয় তো এইবার হবে না। সকলেই চাই দ্রুত সরকারি সাহায্যের। যদিও এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সূর্যকান্ত দিলুই বলেন, “পুরো বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”

ঘাটাল মহকুমা কৃষি অধিকারিক শ্যামাপদ সাঁতরা বলেন, “এই বৎসর কয়েক দিনের এই বৃষ্টিতেই এই বন্যায় ১৩,৬৮০ হেক্টর, কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে, ২০৬ টি মৌজার, সবজি খতিয়ে হয়েছে ৬৮০ সেক্টর কৃষি জমির, আর ১২,৮৩০ সেক্টর কৃষি জমি ধানের ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৩৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাঠানো হয়েছে রাজ্যস্তরে।

আর এদিকে এলাকার কৃষকদের দাবি, দ্রুত সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন। আর দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থাগুলি ঠিক করতে হবে প্রশাসন।