Laxmir Bhandar: মার্চ থেকে বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কারণ শুনে তো মাথা ঘুরে গিয়েছে ‘গৃহলক্ষ্মী’র

Medinipur: দীপালি বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মার্চ অবধি পেয়েছি। তারপর দুয়ারে সরকারে খোঁজ করি। সেখানে কম্পিউটারে দেখে বলছে আমি নাকি মৃত। কী করে যে হঠাৎ মারা গেলাম বুঝলাম না। এরপর অঞ্চলে যাই। সেখান থেকে বিডিও অফিসে। এক বছর হতে চলল কোনও খবর নেই।"

Laxmir Bhandar: মার্চ থেকে বন্ধ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কারণ শুনে তো মাথা ঘুরে গিয়েছে 'গৃহলক্ষ্মী'র
কুরান গ্রামের বাসিন্দা দীপালি মাণ্ডি। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2024 | 8:14 AM

ঘাটাল: দিব্যি আছেন। স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসার করছেন ঘাটাল ব্লকের সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কুরান গ্রামের দীপালি মাণ্ডি। অথচ মার্চ মাসের পর থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। দুয়ারে সরকারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তিনি নাকি ‘মৃত’। বেঁচে নেই, তাই টাকাও নেই! মহা বিপাকে পড়েছেন ওই গৃহবধূ। কীভাবে একজন জলজ্যান্ত মানুষ মৃত হয়ে গেলেন, বুঝেই পাচ্ছেন না দীপালি। এখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে রোজই পুড়িয়ে চলেছেন কাঠখড়।

দীপালি বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মার্চ অবধি পেয়েছি। তারপর দুয়ারে সরকারে খোঁজ করি। সেখানে কম্পিউটারে দেখে বলছে আমি নাকি মৃত। কী করে যে হঠাৎ মারা গেলাম বুঝলাম না। এরপর অঞ্চলে যাই। সেখান থেকে বিডিও অফিসে। এক বছর হতে চলল কোনও খবর নেই।” ২০২৩ সালের মার্চে শেষবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান তিনি। এরপর থেকে আর টাকা ঢোকেনি অ্যাকাউন্টে।

নিজেকে জীবিত প্রমাণের জন্য গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন সকলের কাছে প্রতিনিয়ত ছুটছেন লিখিত আবেদন নিয়ে। যদিও এ বিষয়ে সুলতানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানা বলেন, “আগের তৃণমূল বোর্ডে উনি অনেকবার জানিয়েছেন। আমাদের বিজেপির বোর্ড নতুন। আমরা মানুষের পাশে আছি। উনি আমাদের জানিয়েছেন। আমরাও মহকুমা থেকে ব্লক প্রশাসন, সর্বত্র জানিয়েছি। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।” এ বিষয়ে ঘাটালের বিডিও অভিক বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে কীভাবে ওই মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, তার দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।”