Maoist Attacked: একটাই কেস! ১৪ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হলেন ওঁরা
Jhargram Court: ২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে থাকা EFR ক্যাম্পে মাওবাদীরা হামলা চালিয়ে গুলি করে, ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ২৪ জন EFR জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
ঝাড়গ্রাম: ২০১০ সালে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে EFR ক্যাম্পে হামলার মামলায় জেলবন্দি ২৩ জন মাওবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করল ঝাড়গ্রাম আদালত। ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহির এজলাসে ১৪ মাওবাদীকে পেশ করা হয়। এই মামলায় ৯ জন জামিনে মুক্ত রয়েছে। তাঁদেরকেও মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক এ দিন অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন । ইতিমধ্যে সুদীপ চাঙদার নামে এক মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়।
২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে থাকা EFR ক্যাম্পে মাওবাদীরা হামলা চালিয়ে গুলি করে, ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ২৪ জন EFR জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। জওয়ানের পাল্টা প্রতিরোধে ৫ জন মাওবাদী মারা গিয়েছিল। এই ঘটনার পরই EFR ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই EFR ক্যাম্পের অদূরে শিলদাতে করা হয় রাজ্য পুলিশের স্ট্রাকো ক্যাম্প।
জঙ্গলমহলে মাওবাদী হামলায় এতো নৃশংস হত্যা এর আগে কখনও হয়নি এরাজ্যে। রাত ৯ টা নাগাদ এই ক্যাম্পে হামলা চালায় সশস্ত্র মাওবাদীরা। একের পর এক জওয়ানকে নৃশংসভাবে গুলি করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দুই জওয়ান, উদ্ধার হয় মোট ৫ জন। লুঠ হয় পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র। এর পরেই শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। এই মামলার মোট ২৪ জন মাওবাদীদের নামে অভিযোগ।
এই মামলায় প্রথম মাও নেতা রঞ্জন মুণ্ডা গ্রেফতার হয়। একের পর এক মাও নেতা নেত্রী গ্রেফতার হয়। অধরা ছিলেন মাও নেত্রী সুচিত্রা মাহাতো। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সুচিত্রা। প্রথমে এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে পরর্বতীতে সেই মামলা শুনানি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল মঙ্গলবার পশ্চিম মেদনীপুর আদালতে।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস মাইতি বলেন, “আইপিসি-র ১২০, ১২১, ১২০এ ১২২, ১৬,১৮-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। মোট ৭০ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। ২০১০, ২০১১, ২০১২ সালে চার্জশিট হয়েছে।”