TMC: তৃণমূল বনাম তৃণমূলে ব্যাপক বোমাবাজি, সকালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে তাজা বোমা
TMC: পঞ্চায়েত নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকেই একাধিক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠে এই কোল্লা গ্রাম। আর প্রতিবারই সামনে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, মূলত এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
পশ্চিম মেদিনীপুর: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ সাতসকালে এলাকায় ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে একাধিক তাজা বোমা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত চন্দ্রকোণার কোল্লা গ্রাম, সাতসকালে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে তাজা বোমা। ফের প্রকাশ্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। একপক্ষের দাবি, গ্রামে জলসা বন্ধ করতে করা হয় বোমাবাজি। পাল্টা অপরপক্ষের দাবি, নির্বাচনী চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়েছে এক গোষ্ঠীর নেতাকে সেটাকে কেন্দ্র করে এলাকা দখলের চেষ্টা বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। রাতে বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের কোল্লা গ্রামের।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকেই একাধিক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠে এই কোল্লা গ্রাম। আর প্রতিবারই সামনে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, মূলত এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সোমবার রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোল্লা গ্রাম। রাতে গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। সকালেও দেখা যায়, মাঠে প্রকাশ্যে ছড়়িয়ে রয়েছে তাজা বোমা।
জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একপক্ষ টিকিট না পাওয়ায় আম চিহ্নে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করে, পরে তাঁদের দলেও ফিরিয়ে নেওয়া হয়। অঞ্চল সহ সভাপতি ইসমাইল খান ও অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দলের একাংশের তরফেই জানানো হচ্ছে।
আম চিহ্নে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কোল্লার নেতাদের দাবি, এলাকায় জলসা হচ্ছিল তৃণমূলের বুথ সভাপতি অনুগামীরা বোমাবাজি করেছে। অপরদিকে বুথ তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমানের অনুগামী আব্বাস উদ্দিন খান এর দাবি, “আমি চিহ্নে জয়ী হওয়া বর্তমানে তৃণমূল কর্মীরাই এলাকায়, বোমাবাজি করেছে, এলাকার রাত নিজেদের হাতে রাখার জন্য।” তবে যাই হোক সাত সকালে এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বোমা ছড়িয়ে থাকার ঘটনায়, আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।