AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বিজেপি করি বলে ভোটের পর কাজ থেকে বসিয়ে দিল’, রামজীবনপুরের পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

BJP: ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে থেকে চন্দন বিজেপির বেশ কাছাকাছি চলে যায়। এমনকী ভোটের সময় বিজেপির হয়ে প্রচারও করেন।

'বিজেপি করি বলে ভোটের পর কাজ থেকে বসিয়ে দিল', রামজীবনপুরের পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ
নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 9:09 PM
Share

মেদিনীপুর: বিজেপি করায় কাজ না পাওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দ্রকোণার রামজীবনপুরে। এই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী চন্দন পাণ্ডা। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়। চন্দনের দাবি, তিনি বিজেপি করায় কাজের সুযোগ থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় পুর প্রশাসক নির্মল চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল। অভিযোগ, শুধু চন্দনই নন, কাজ হারিয়েছেন আরও চারজন।

চন্দ্রকোণার রামজীবনপুরের বাসিন্দা চন্দন পাণ্ডা। রামজীবনপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। ২০১৪ সাল থেকে পুরসভায় কাজ শুরু করেন। পরবর্তী কালে চন্দন প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় চলে আসেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরকর্মী চন্দন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে শুরু করেন। বিজেপির ঝান্ডা হাতে বিজেপির মিটিং মিছিলে পা মেলান তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও চার পুরকর্মী। সকলেই সক্রিয় রাজনীতিতে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, তার খেসারতও দিতে হয় চন্দনকে।

২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে থেকে চন্দন বিজেপির বেশ কাছাকাছি চলে যায়। এমনকী ভোটের সময় বিজেপির হয়ে প্রচারও করেন। চন্দনের অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পরই কোনও কারণ না দেখিয়ে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। চন্দন পাণ্ডার কথায়, “একুশ সালের বিধানসভা ভোটে আমি বিজেপি করতাম বলে বর্তমান প্রশাসক নির্মল চৌধুরী কাজ থেকে বসিয়ে দেন। আমি এখন কোনও বেতন পাই না। উল্টে আমাদের পিএফ চালু হয়েছিল। তার টাকাও চার মাসের কাছাকাছি হল কাটে না। আমার সাত বছরের চাকরি নিয়ে নিল। পুরপ্রশাসকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন এমন হল! উনি বলেন, ‘তুমি বিজেপি করতে। আমি আমার দলের ছেলেদের সঙ্গে কথা বলি। তারপর আবার তোমাকে ডাকব। এখন বিশ্রাম নাও’।”

চন্দন জানান, হাতে কোনও কাজ নেই। না চলার মতো সংসার চলছে। চন্দনের স্ত্রী তাপসীর কথায়, “এখন স্কুল বন্ধ বাচ্চাগুলোর। টিউশন নির্ভর ওরা। এদিকে টাকা নেই যে টিউশন পড়াব। এমন দিনও যাচ্ছে না খেতে পেয়ে কাটাতে হচ্ছে। কিছু করার তো নেই।” পরিবারকে বাঁচাতে চান চন্দন। দু’ মুঠো ভাতের জন্য বাচ্চাগুলো কাঁদলে মন ভাঙে বাবার। ঘরে বৃদ্ধা মায়ের ওষুধ না আনতে পারলে ছেলের বুকে যন্ত্রণা দলা পাকিয়ে ওঠে। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু করারও নেই তাঁর। যদিও রামজীবনপুর পুরসভার প্রশাসক নির্মল চৌধুরীর বক্তব্য, “দেশে তো প্রচুর গরীব মানুষ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলকেই তো কাজ দিতে হবে। আমাদের পুরসভাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই সুযোগ দেওয়া হয়। এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন।”

এই ঘটনায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নন্দ নিয়োগী বলেন, “যারা বিজেপি করত আমাদের পুরপ্রশাসক তাদের বেছে বেছে কাজ থেকে বসিয়ে দিয়েছে। আমরা এর জন্য পুরসভায় ডেপুটেশনও দিয়েছি।” অন্যদিকে রামজীবনপুরের তৃণমূল নেতা কল্যাণ তিওয়ারি বলেন, “এসব অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। দু’ তিন মাস ভোটের আগে কাজ করেনি। এতদিন অনুপস্থিত। তাই পুরসভায় দরখাস্ত করতে বলা হয়েছিল। ” আরও পড়ুন: একজন শিশুরও যেন পুষ্টির অভাব না হয়, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে বিভিন্ন দফতরকে বার্তা মুখ্যসচিবের