Kharagpur: রাস্তায় আটকে অ্যাম্বুল্যান্স, স্তব্ধ যান চলাচল, লাঠি হাতে ট্র্যাফিক সামলাতে নামলেন খোদ মহকুমা শাসক!
Traffic Control: হঠাৎ রাস্তায় দেখা গেল এক ব্যক্তি লাঠি উঁচিয়ে একের পর এক গাড়িকে রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজয় মুক্ত হল খড়গপুরের জনতা মার্কেটের সামনের ব্যস্ততম রাাস্তা। কে ইনি? কৌতূহলী চোখ তাঁর দিকে।
খড়গপুর: একের পর এক গাড়ি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সব গাড়ির হর্নের শব্দে কানে তালা পড়ার জোগাড়। রাস্তায় আটকে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও। কখন স্বাভাবিক হবে যান চলাচল? অপেক্ষায় গাড়ি চালক থেকে যাত্রীরা। হঠাৎ রাস্তায় দেখা গেল এক ব্যক্তি লাঠি উঁচিয়ে একের পর এক গাড়িকে রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজয় মুক্ত হল খড়গপুরের জনতা মার্কেটের সামনের ব্যস্ততম রাাস্তা। কে ইনি? কৌতূহলী চোখ তাঁর দিকে। জানা গেল, তিনি আর কেউ নন, খোদ মহকুমা শাসক!
খড়গপুরের জনতা মার্কেটে দীর্ঘক্ষণ যানজট ছিল। আর তা মুক্ত করতে রবিবার ছুটির দিনে লাঠি হাতে রাস্তায় নামলেন খড়গপুরের মহকুমা শাসক আজমল হোসেন। মহকুমা শাসকের এমন কাজে বিস্মিত অনেকে। যদিও মহকুমা শাসক জানাচ্ছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার তো তাঁর উপরেই বর্তায়। তাই নামলেন রাস্তায়। তাছাড়া তাঁকে সাহায্য করেছেন ট্র্যাফিক পুলিশ। আবার কেন নিত্যদিন এমন যানজটে পড়ে এই রাস্তা, তার কারণ ও সমস্যা সমাধানের পথও বাতলে দেন তিনি।
খড়গপুর শহরে বাস স্ট্যান্ড থেকে গোলবাজার জনতা মার্কেট প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে। আর এর মূল কারণ হল রাস্তার দু’ দিকে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদির হোলসেল ব্যবসায়ীদের গোডাউন। এই গোডাউনে বড় বড় ট্রাক রাস্তায় দু’পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। চলে লোডিং ও আনলোডিং- এর কাজ। আর তার জেরেই ভোগান্তি পোয়াতে হয় নিত্য যাত্রীদের। ব্যস্ততম এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে বাস। তেমনি অটো, টোটোর দৌরাত্মও বিশাল। আর এর ফলে নিত্যযাত্রী থেকে স্কুল পড়ুয়া, অ্যাম্বুল্যান্স এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে আসছিল।
তাই রবিবারের সকালে নিজেই হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিজের চোখে দেখলেন তীব্র যানজটে নাকাল মানুষজনের অবস্থা। তার পর খড়গপুর মহকুমা শাসক আজমল হোসেন নিজেই লাঠি হাতে নেমে এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে থাকা যানজট নিজে হাতে মুক্ত করলেন। স্বাভাবিক হল যান চলাচল।
আজমল হোসেনের কথায়, “সাব ডিভিশনের ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আমার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার। তাই ওদের (পুলিশ) নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ল অ্যান্ড অর্ডারের মধ্যেই তো এটা পড়ে। আমার সঙ্গে পুলিশ, ট্র্যাফিক পুলিশ সবাই ছিলেন। ব্যস্ততম রাস্তা হওয়ার কারণে দীর্ঘ জ্যাম হচ্ছে। অসুবিধায় রোগী থেকে নিত্যযাত্রীরা। এই দুর্ভোগের কারণ, অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল। তার সঙ্গে রয়েছে বাজারে লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ। এটার জন্য আমাদের নামতে হয়েছিল রাস্তায়।” এই অসুবিধা মুক্ত করতে ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।