Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Binpur TMC Leader: হয় ঠিকাদারি, নয় তৃণমূল! অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই দল ছাড়লেন বুথ সভাপতি

Binpur TMC Leader: পেট চালানোর জন্য ঠিকাদারি করেন বলে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাই অভিষেকের বার্তার পরই সমস্যায় পড়েন তিনি।

Binpur TMC Leader: হয় ঠিকাদারি, নয় তৃণমূল! অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই দল ছাড়লেন বুথ সভাপতি
দল ছাড়লেন অভিজিৎ দত্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 5:11 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর হয় ঠিকাদারি করতে হবে নাহলে তৃণমূল করতে হবে। দুটো একসঙ্গে করা যাবে না। ঠিকাদারি করতে গেলে দলের ঝাণ্ডা বাড়িতে রেখে আসতে হবে। গত শনিবার হলদিয়ার সভা থেকে এমনই বার্তা দেন সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি এই বার্তা দেওয়ার পরই দল ছাড়লেন তৃণমূলের নেতা। অভিষেকের বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের সিমলা বুথের বুথ সভাপতি অভিজিৎ দত্ত। পেশায় ঠিকাদার হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

অভিজিৎ দত্ত নামে ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস করতেন দলের জন্মলগ্ন থেকে। আর ঠিকাদারি শুরু করেন দল ক্ষমতায় আসার পর অর্থাৎ ২০১১ সালে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ার সমাবেশ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ঠিকাদারি আর তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে চলতে পারে না। তাই দল ছেড়ে দিয়ে ঠিকাদারিকেই বেছে নিলেন অভিজিৎ।

তৃণমূল নেতার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা জানার পর কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন অভিজিৎ দত্ত। তবে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। রবিবার লিখিতভাবে দলের বিনপুর দু নম্বর ব্লক সভাপতির কাছে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই বুথের সভাপতি ছিলাম, দীর্ঘদিন ঠিকাদারি করছি। সংসার চালাতে তো টাকা লাগে! তাই ঠিকাদারিটাই করব।’

তিনি ঠিকাদারি শুরু করেন ২০১১ সালে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারির ফলে তাঁর শ্রীবৃদ্ধিও হয়েছে। ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার টেন্ডারে তিনি কাজ  করেন, বছরে ১০ থেকে ১২ টি কাজের বরাত পান।

উল্লেখ্য, হলদিয়ার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ঠিকাদারির নামে শ্রমিকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে, তাঁদের বঞ্চিত করা হবে, এ সব তিনি বরদাস্ত করবেন না। কোন ঠিকাদার কী করছেন, সেই হিসেব আছে বলেও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজসে তৃণমূল কংগ্রেস চলবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর তারপরই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিজিৎ।