Chandrakona: তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বনাম কৃষক, জমির মালিকানা জটিলতায় জমিতে শুকোচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ধান

Medinipur: স্থানীয় সূত্রে খবর, বাম আমলে এই ব্লকের ধান্যগাছি ও ভগীরথপুর মৌজায় উপেন্দ্র ঘোষ নামে এক ব্যক্তির প্রায় ২০ বিঘা জমি আইনি জটিলতায় জড়ায়।

Chandrakona: তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বনাম কৃষক, জমির মালিকানা জটিলতায় জমিতে শুকোচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ধান
বাঁদিকে অভিযোগকারী কৃষক। ডানদিকে প্রসূন ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 9:30 AM

মেদিনীপুর: জমির মালিকানা নিয়ে দড়ি টানাটানি। তার দেরে বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান শুকিয়ে মরছে মাঠেই। সরকারি জমি চাষিদের থেকে কেড়ে নিয়ে ধান চাষ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আগেই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কৃষকরা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও দেন। এবার অভিযোগ, ব্লক সভাপতি ও কৃষকদের এই দ্বন্দ্বে জমিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। জট কাটাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ফলে নষ্ট হচ্ছে ৮ থেকে ১০ বিঘা জমির পাকা ধান। যার দাম কয়েক লক্ষ টাকা। মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের ভগীরথপুর ও ধান্যগাছি মৌজায় এমনই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। ভগীরথপুর ও ধান্যগাছি এলাকার একাধিক কৃষকের দাবি, বাম আমল থেকে তাঁরা এখানকার একাধিক জায়গায় চাষের কাজ করছেন। তাঁদের পূর্ব পুরুষরাও এই জমিতে ফসল ফলিয়েছেন। অভিযোগ, কয়েক মাস আগে ধান্যগাছি এলাকার বাসিন্দা প্রসূন ঘোষ, যিনি আবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতিও। তিনি দাবি করে বসেন, এই মৌজার ওই জমি তাঁর। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে জোর করে সেই জমি তিনি কৃষকদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে চাষ করতে শুরু করেন। তিনি গত বর্ষায় প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। তবে কৃষকদের বাধার মুখে পড়ে তিনি সে ফসল কাটতে পারেননি। ফলে মাঠে শুকোচ্ছে ধান।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাম আমলে এই ব্লকের ধান্যগাছি ও ভগীরথপুর মৌজায় উপেন্দ্র ঘোষ নামে এক ব্যক্তির প্রায় ২০ বিঘা জমি আইনি জটিলতায় জড়ায়। সেই জমিতেই এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক কাজ করেন। চাষ করতে থাকেন তাঁরা। এদিকে সেই উপেন্দ্র ঘোষেরই নাতি প্রসূন ঘোষ। কৃষকদের অভিযোগ, ২০২২ সালে ওই জমি প্রসূন ঘোষ জোর করে কেড়ে নেন। এমনকী অভিযোগ, বছরের পর বছর জমির পাট্টার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হলেও তা পাওয়া যায়নি। যার জেরে আজ তাদের এই সমস্যায় পড়তে হল।

ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রসূন ঘোষ অবশ্য বলছেন, “পূর্ব পুরুষ সূত্রে আমার পাওয়া জমি। বাবা,জ্যেঠু চাষাবাদ করত। কেউ অভিযোগ জানায় এই জমি ভেস্টিং ল্যান্ড। সেই হিসাবে আইনি জটিলতায় প্রশাসন বলে আপনি এখন ধান কাটা বন্ধ রাখুন। তাই বন্ধ আছে। প্রশাসন বললে কাটব। আমরা আইন কানুনের মান্যতা দিয়েই আছি।” এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের তৃণমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষের বক্তব্য, এখানে দাবি, পাল্টা দাবি করে লাভ নেই। কাগজ দেখাতে হবে।

চন্দ্রকোনা-২’র বিডিও অমিত ঘোষ জানান, এই জমির উপর মামলা রয়েছে। ‘ভেস্টিং’ যাঁর নামে ছিল, তাঁকে নিয়েই জটিলতা আছে। তিনি জানান, বিএলআরওকে রিপোর্টও দিয়েছেন তিনি। মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকও এ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কীভাবে তাড়াতাড়ি ধান কাটা যায় তা দেখা হচ্ছে।