Blood Bank: ব্লাড ব্যাঙ্কে দালাল চক্র? পর্দা ফাঁস করলেন স্বয়ং হাসপাতাল সুপার
Katwa: হাসপাতালের সুপার উভয়ের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
কাটোয়া: কাটোয়া ব্লাড ব্যাঙ্কে (Blood Bank) রক্ত বিক্রির অভিযোগে দুই দালালকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন হাসপাতালের সুপার। টাকার বিনিময়ে রক্তের কারবার চালানোর অভিযোগে ওই দুই দালালকে সোমবার কাটোয়া থানার (Katwa Police Station) পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। ওই দুই ব্যক্তির নাম অর্জুন মাঝি ও রহিম শেখ। তাদের বাড়ি কাটোয়া পুরসভার বাগানপাড়া ও দালানপুকুর পাড় এলাকায়। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। অর্জুন মাঝির দাবি, সে রক্ত বিক্রি করতে আসেনি। অন্যজনের বক্তব্য, সে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে এসেছিল। হাসপাতালের সুপার উভয়ের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
হাসপাতালের সুপার শেখ শৌভিক আলম সোমবার বিকেলে ব্লাড ব্যাঙ্ক পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেই সময় ব্লাড ব্যাঙ্কের ভিতরেই বসে ছিল ওই দুই ব্যক্তি। তাদের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতাল সুপারের। প্রশ্ন করায় উত্তর আসে, তারা রক্ত দিতে এসেছে। নিজেদের রক্তদাতা হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপর রোগীর বা রোগীর পরিজনদের নাম জানতে চাইতেই অসংলগ্ন উত্তর আসতে শুরু করে। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে হাসপাতালের সুপারের। ব্লাডের রিকিউজিশন ফর্ম দেখে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানতে পারেন, ওই দুই ব্যক্তিকে রোগীর আত্মীয়রা চেনেন না।
কাটোয়া থানা এলাকার বাসিন্দা মনিরা খাতুন কাটোয়া শহরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। তাঁর রক্তের প্রয়োজনের কথা বলে পরিবারের লোকেরা এক পরিচিত ব্যক্তিকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন রক্তদাতা পাঠাবেন, কিন্তু পাঠাননি। এদিকে যারা মনিরা খাতুনকে রক্ত দিতে এসেছে বলে দাবি করছে, তাদের আবার মনিরা পরিবারের লোকেরা চেনেন না। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, আটক দু’জন রক্তদাতা প্রথমে রোগীর আত্মীয় বলে দাবি করেছিল। কিন্তু রোগীর নাম বা বাড়ি কোথায়, কিছুই বলতে পারছে না। সন্দেহজনক আচরণের জন্যই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুপার শৌভিক আলম।