করোনায় মৃত সন্দেহে বিজেপি নেতার দেহ পড়ে ১২ ঘণ্টা, কাঁধ বাড়াল তৃণমূল

করোনায় মৃত্যু হয়েছে, এই সন্দেহে বাড়িতে এক রাত পড়ে থাকা বিজেপি (BJP) নেতার শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, মৃতের কোনও জাত, ধর্ম হয় না।

করোনায় মৃত সন্দেহে বিজেপি নেতার দেহ পড়ে ১২ ঘণ্টা, কাঁধ বাড়াল তৃণমূল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2021 | 7:57 PM

কেতুগ্রাম: একে করোনা (Corona) সংক্রমণ তার উপর ভোটের ফল পরবর্তী হিংসা, বাংলায় এই দুটি বিষয় নিয়েই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও উদ্বেগ। এই প্রেক্ষিতে ভিন্ন ছবি দেখা গেল বর্ধমানের কেতুগ্রামে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে, এই সন্দেহে বাড়িতে এক রাত পড়ে থাকা বিজেপি (BJP) নেতার শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। নিজেরাই কাঁধে করে মৃত বিজেপি নেতাকে নিয়ে গেলেন শ্মশানে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের আনখোনা পঞ্চায়েতের চাকটা গ্রামের বিজেপি বুথ সভাপতি অনুপ মুখার্জি। কিন্তু তাঁর দেহ সৎকারে এগিয়ে আসেনি কেউ। করোনায় মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই সন্দেহ স্থানীয়দের। এদিকে এক মেয়েকে নিয়ে স্বামীর মৃতদেহ আগলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন অসহায় স্ত্রী। এভাবেই পেরোয় একটা গোটা রাত। সাহায্য চেয়ে কারও সাড়া পাননি মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী। সংক্রমণের ভয়ে বাড়ির কাছে ঘেঁষতে চায়নি প্রতিবেশী থেকে গ্রামবাসী, এমনকি বিজেপি নেতার সতীর্থরাও।

এদিকে এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পৌঁছয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অবশেষে আনখোনা তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বুদুন শেখের নেতৃত্বে তাঁর দলের কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে আসেন মৃত বিজেপি নেতার শেষকৃত্যে।

নিজেরাই মৃতদেহ কাঁধে তুলে তারপর গাড়ি করে কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে শ্মশানে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। রাজ্যজুড়ে যখন রাজনৈতিক হিংসার খবর, শাসক-বিরোধী একে অন্যের উপর দায় চাপাতে ব্যস্ত তখন বিরল অথচ অভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী থাকল কেতুগ্রাম। এ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, মৃতের কোনও জাত, ধর্ম এমনকী রাজনৈতিক পরিচয় হয় না।

আরও পড়ুন: ভয় দেখানোর জন্যই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে : দিলীপ ঘোষ 

এবিষয়ে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অনিল দত্ত স্বীকার করে নেন, কোভিডের ভয়ে অনেকেই দলের সতীর্থের মৃতদেহের কাছে আসতে চাননি। ‘তবে কারা দাহ করল খোঁজ নেব’, মন্তব্য তাঁর।