Mishti Hub: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই তড়িঘড়ি বৈঠক! ১৫ দিনের মধ্যে দোকান খুলবে মিষ্টি হাবে
Mishti Hub: জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, মিষ্টি হাবে সরকারি বাস দাঁড় করানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলিও যাতে মিষ্টি হাবে থামানো হয়, সেই নিয়েই বেসরকারির বাস মালিকদের কাছে অনুরোধ করা হবে।
বর্ধমান: মিষ্টি হাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া ধমক খেতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলাশাসকের দপ্তরে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে হবে। দোকান না খুললে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। এ ছাড়াও পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বিধায়ক নিশীথ মালিক,জাতীয় সড়কের প্রতিনিধি,পরিবহন দফতরের আধিকারিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, মিষ্টি হাবে সরকারি বাস দাঁড় করানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলিও যাতে মিষ্টি হাবে থামানো হয়, সেই নিয়েই বেসরকারির বাস মালিকদের কাছে অনুরোধ করা হবে। জাতীয় সড়ক থেকে মিষ্টি হাবে বাস ঢোকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আসানসোলে জেলা ভাগের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বামচাঁদাইপুরে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন। কিন্তু মিষ্টি হাব চালু হওয়ার পর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে। দোকান পাট চালু হলেও জমেনি ব্যবসা। ফলে নাগাড়ে লোকসানে চলা মিষ্টির দোকানগুলির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেও জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে মিষ্টি হাবকে সচল করার চেষ্টা হয়। কিন্তু কোন দাওয়াই কাজে লাগেনি। ফলে একতলার দশটি ও দোতলার ১৫ টি দোকান ঘরে তালা পড়ে যায়। সপ্তাহ খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রসাশনিক বৈঠকে মিষ্টি হাব নিয়ে খোঁজ খবর নেন। বন্ধ আছে শুনে কড়া বিরক্তও হন।
এরপরই শনিবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, “১৫ দিনের মধ্যে সব ব্যবসায়ীকে মিষ্টি হাবের দোকান খুলতে হবে। মিষ্টি হাব খুব ভাল ভাবে চলবে।” সীতাভোগ, মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বলা হয়, তারা দোকান খুলতে আগ্রহী। কিন্তু লোকসান ঠেকাতে হবে। দোকান চালু করতে হবে। বছর তিনেক আগে মিষ্টি হাবে মেলার আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে, এত বৈঠক, মুখমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরেও কি মিষ্টি হাব ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? উত্তর মিলবে যথা সময়ে।