Attack on Wife: নেশার জন্য ছটফটানি! স্ত্রীর সঙ্গে এমন কাজ করতেও পিছপা হলেন না স্বামী
Attack on Wife: রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যেই পড়েছিলেন স্ত্রী। তাঁকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যান স্বামী। আপাতত তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
কালনা: কাজ ছেড়ে চলে এসেছেন বেশ কিছুদিন আগেই। উপার্জনও বন্ধ অনেক দিন ধরে। কিন্তু নেশা যাবে কোথায়! নেশার জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও জোটানোর ক্ষমতা নেই। কিন্তু সন্ধ্য়া হলেই মদের নেশায় বুঁদ হওয়ার জন্য ছটফট করতে থাকেন, তাই স্ত্রীর কাছে গিয়েই হাত পাতেন চন্দন হেমরম নামে এক ব্যক্তি। এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে। কিন্তু স্বামীকে নেশার পথ থেকে ফেরাতে চেয়েও পারলেন না স্ত্রী। উল্টে স্বামী বসালেন ধারাল অস্ত্রের কোপ। পূর্ব বর্ধমানের কালনার চৌঘড়িয়া ভেরোপাড়ার ঘটনা। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুর্গামনি হেমরম।
স্ত্রীর কাছে মদ খাওয়ার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় স্ত্রীর ঘাড়ে ও মুখে কুড়ুলের কোপ বসালেন স্বামী। রক্তাক্ত অবস্থায় সংজ্ঞাহীন হয়ে বাড়িতে পড়েছিলেন স্ত্রী। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে স্বামী পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই অবস্থায় বাড়িতে পড়ে থাকার পর পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় দুর্গামনিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, স্বামী চন্দন ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত এক মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। সংসারে টাকা না দিয়ে উল্টে তিনি মদ খাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে জোর জুলুম করতেন বলে জানিয়েছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, টাকা না পেলেই স্ত্রীকে মারধর করতেন, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন তিনি। এমনকি আগে বেশ কয়েকবার ছুরি নিয়ে স্ত্রীকে মারতেও গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ একই ঘটনা ঘটে। স্বামী মদ খাওয়ার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন স্ত্রী। শুরু হয় বিবাদ। আচমকা কুড়ুল দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে ও মুখে কোপ দেন স্বামী।
তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারাই ফোন করে আত্মীয়দের খবর দেয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান দুর্গামনির পরিবারের লোকজন। তাঁর ভাইও জানিয়েছেন, দিদি-জামাইবাবুর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত প্রায়ই। তবে এমনটা হবে, তা ভাবতে পারেননি তাঁরা। আপাতত চন্দনকে খুঁজছে পুলিশ।