Manteswar: বাড়ির সামনে সাইকেল রাখা নিয়ে বচসা, মারধরে মৃত্যু প্রতিবেশীর, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের পরিবার

বুধবার সকালে কর্মাধ্যক্ষের পরিবারের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মুখার্জির ভাই সুকান্ত মুখার্জি, ও তাঁর স্ত্রী পম্পা মুখার্জি এবং তাদের ছেলে কৃশানু মুখার্জি।

Manteswar: বাড়ির সামনে সাইকেল রাখা নিয়ে বচসা, মারধরে মৃত্যু প্রতিবেশীর, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের পরিবার
মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 7:28 PM

মন্তেশ্বর: বাড়ির সামনে সাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের বচসা। সেই বচসাকে কেন্দ্র থেকে  এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল পাশের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মারধরের পর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। জানা গিয়েছে, মারধরে অভিযুক্তরা এলাকার পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষের পরিবারের লোক। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই রক্তবমি শুরু হয় আহত ব্যক্তির। মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত কর্মাধক্ষ্যের ভাই, ভাইয়ের বউ ও ভাইপোকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামে।

হোসেনপুর গ্রামে থাকেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুব্রত মুখার্জি। জীবনকৃষ্ণ ব্যানার্জি তাঁর প্রতিবেশী।  জীবনকৃষ্ণের দাদা অজয় ব্যানার্জির অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির সামনে বাঁধানোর পর থেকেই ঝামেলা শুরু করে সুব্রত মুখার্জি ও তাঁদের বাড়ির সদস্যরা। জামাইষষ্ঠীর দিন তাঁদের বাড়ির সদর দরজার সামনে সাইকেল, বাইট রেখে দিয়েছিলেন মুখার্জি পরিবারের সদস্যরা। জীবনকৃষ্ণ তা সরাতে বলার পরই মুখার্জি পরিবারের লোকেরা তার উপর ব্যাট, উইকেট, রড নিয়ে আক্রমণ করে। আহত অবস্থায় রবিবার জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই রক্তবমি শুরু হয় জীবনকৃষ্ণের। হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এর পরই বুধবার সকালে কর্মাধ্যক্ষের পরিবারের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মুখার্জির ভাই সুকান্ত মুখার্জি, ও তাঁর স্ত্রী পম্পা মুখার্জি এবং তাদের ছেলে কৃশানু মুখার্জি। যদিও পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।